• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
রাবিপ্রবিতে ষ্টার্টআপ এন্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়থ বিষয়ক সেমিনার                    রাবিপ্রবিতে অফিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কর্মশালা                    রাঙামাটিতে সিপিবি’র নেতৃত্বে সমীর ও অনুপম                    পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য পুনঃস্থাপন ও সম্প্রদায়ের বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষনে ১২ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন                    বিলাইছড়িতে তথ্য অফিস কর্তৃক নারী সমাবেশ                    রাঙামাটিতে কলা গাছের আঁশের স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রদর্শনী ও উদ্বোধন                    রাঙামাটিতে পুষ্টি পরিষেবার ঘাটতি পূরণে জন্য স্থানীয় লাইন বিভাগের সাথে সভা                    রাঙামাটিতে দুই বান্ধবীর একসাথে বিষপানে একজনের মৃত্যু,আরেকজন গুরুত্বর অসুস্থ                    রাঙামাটিতে সেনা অভিযানে জেএসএসের সশস্ত্র সদস্য আটক, অস্ত্র উদ্ধার                    রাঙামাটিতে সনাকের বলপিয়ে আদাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসিজি’র গ্রুপ গঠন                    রাঙামাটিতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত                    জীববৈচিত্র্য পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় সবুজায়নের খাগড়াছড়িতে চারা বিতরণ                    রামগড়ে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা                    অনিয়মের অভিযোগে রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে দুদকের অভিযান                    প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সরকারী সেবা সম্পর্কে অবহিত করতে গণ সংলাপ                    ভ্যান্ডর তালিকাভুক্তিকরণ দরপত্র আহ্বান বিজ্ঞপ্তি                    রাজস্থলীর মিতিঙ্গাছড়িতে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা                    কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাটে ফের পানি ছাড়া হচ্ছে                    রাঙামাটিতে এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রথম আলোর সংবর্ধনা                    সাজেক পর্যটনে অগ্নিকান্ডে ঘটনার ছয় মাস পর কটেজ-রিসোর্ট স্থাপনা নির্মাণে লাইন্সে প্রদান                    কাউখালীতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুরকে নতুন ঘর দিল সেনাবাহিনী                    
 
ads

পাহাড় ধস ট্র্যাজেডীর এক বছর
স্থায়ী ব্যবস্থা না হওয়ায় ক্ষিতিগ্রস্তরা ফের হাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে

স্টাফ রিপোটার : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 12 Jun 2018   Tuesday

বুধবার কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধস ট্র্যাজেডীর এক বছর। গেল বছর ১৩ জুন ভয়াবহ পাহাড় ধসে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ স্থানে শিশুসহ ১৮ জনের মুত্যু হয়।

 

পাহাড় ধসে চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের মিতিঙ্গাছড়িতে মোঃ সবুজ তার পিতা নুরনবী, স্ত্রী রুপসী ও ৫ বছরের শিশু রোহানকে হারিয়েছে। এরপর সরকারি ভাবে কিছু নগদ অর্থ ও টিন সহায়তা পেয়ে ধসেপড়া স্থানেই আবারও বসতঘর নির্মান করেছে। তার মতো ক্ষতিগ্রস্থ অনান্য পরিবারগুলোও পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানেই বসবাস করছে। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলকায় বসবাসকারী ৪০ পরিবারকে তখন স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাসের বন্দেবস্ত করার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সুপারিশ করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি । ফলে পরিবার গুলোকে ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের ঢালে বসবাস করতে হচ্ছে। 

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৩ জুন ২০১৭ তারিখে ১৮ জনের মুত্যুর পর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী কয়েক’শ পরিবারকে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অধিকাংশ পরিবারই নিজ নিজ বাসস্থানে ফিরে যায়। কিন্তু মারতœক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ৪০টি পরিবারকে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে দেওয়া হয়। ২ জুলাই ২০১৭ তারিখ এসব পরিবারকে স্থায়ীভাবে পূর্নবাসরে জন্য উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সরকারী দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দূর্যোগ শেষ হওয়ার প্রায় ৩ মাস পরও ওই ৪০ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করলেও তাদেরকে স্থায়ীভাবে বসবাসের কোন ব্যবস্থা করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। নিরুপায় হয়ে নিম্ন আয়ের এসব মানুষ বাধ্য হয়ে পুনারয় ঝুঁকিপুর্ণ এলকায় বসবাস করতে থাকে।


চিৎমরম মুসলিম পাড়ায় বসবাসকারী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, প্রতিবছর দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া এলেই ঝুঁকির্পূণ এলকায় বসবাসকারী পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করা হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই পরিবারগুলো আবারো ঝুঁকিপূর্ণ এলকায় বসবাস শুরু করবে। এভাবে কতদিন চলবে? এসব পরিবারকে স্থায়ীভাবে পুর্নবাসন করা না হলে বছরের পর বছর চলতে থাকবে এ পরিস্থিতি। এটা অমানবিক বলে তিনি মন্তব্য করেন। বৃদ্ধা মঞ্জু বেগম (৫০), মোঃ নাছির (৫০), সুমি বেগম (২২) জানান, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের মাথা গোঁজার কোন ঠাই নেই। দীর্ঘ ৩/৪ মাস আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার পরও আমাদের থাকার কোন স্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়নি। আমরা কোথায় যাব? তাই ঝুঁকি সত্বেও আমরা নিরুপায় হয়ে পাাহড়ের ঢালে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছি।


কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিলদার হোসেন বলেন, আমরা জেলা পর্যায়ে লেখালেখি করেছি, এসব পরিবারকে স্থায়ীভাবে পূর্ণবাসনের জন্য। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় জেলা প্রশাসন থেকে আশানুরুপ কোন সাড়া পাইনি।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, স্থায়ী জায়গা না পওয়ায় এসব পরিবারকে পুর্নবাসন করা সম্ভব হচ্ছে না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ