খাগড়াছড়ি জেলা শহরে ও মানিকছড়িতে বৈসাবি (বৈসু-সাংগ্রাই-বিঝু) উৎসবের আনন্দ শোভাযাত্রায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর হামলা ও বাধাদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)।
ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, রোববার পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসবের প্রথম দিনে খাগড়াছড়ি জেলা শহরে সর্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটির উদ্যোগে শহরের মধুপুর বাজার থেকে সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। শোভাযাত্রায় অংগ্রহণ করার জন্য লোকজন মধুপুর বাজারে জড়ো হতে গেলে আইন-শৃংখলা বাহিনী বাধা দেয়। পরে পুলিশ বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় সেনা ও পুলিশ সদস্যরা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য এল্টন চাকমাকে আটক করে নিয়ে যায়। এছাড়া শোভাযাত্রা ভুন্ডল করতে সকাল থেকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সামনে, ভাইবোন ছড়ার দেওয়ান পাড়া, বিজিতলা, জিরো মাইল, পানছড়ির কুড়াদিয়া ছড়াসহ বিভিন্ন স্থানে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের গাড়ি আটকিয়ে দেয়। ফলে লোকজন শোভাযাত্রায় যোগ দিতে পারেনি বলেপ্রেস বার্তায় অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রেস বার্তায় আরও বলা হয়, জেলার মানিকছড়িতে গুইমারা, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে সম্মিলিতভাবে বৈসাবি র্যালি আয়োজনে আইন-শৃংখলা বাহিনী বিভিন্ন স্থানে বাধা দেয়। সকাল থেকে জালিয়া পাড়া, নাকাপা, পাতাছড়া, সিন্দুকছড়ি, জামতলা সহ বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি আটকিয়ে দেয় এবং লোকজনকে র্যালিতে অংশগ্রহণে বাধা দেয়। এমনকি সাধারণ যাত্রীবাহী যান চলাচলেও বাধা দেয়া হয়।
প্রেস বার্তায় সরকার পাহাড়িদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের কথা বলে মুখে ফেনা তুললেও বাস্তবে বৈসাবির শোভাযাত্রা পন্ড করে দেয়ার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে সরকার পাহাড়িদের ধ্বংস করতেই বদ্ধপরিকর। সরকারী লোকজন বৈসাবির র্যালি করতে পারলে সাধারণ জনগণ কেন পারবে না?’
প্রেস বার্তায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে চরম ফ্যাসিস্ট আখ্যায়িত করে বলেন, ‘সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে। নিজ দলের লোকজন ভিন্ন বাকি সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে। একদিকে শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছে, অন্যদিকে ভূমি বেদখল, নারী নির্যাতন, ধরপাকড়, গ্রামে গ্রামে তল্লাশী ইত্যাদি বৃদ্ধি পেয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.