আগামী ১৫ মার্চ রাঙামাটি জেলায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার জেলার ১ হাজার ২৬০টি কেন্দ্রে ৮৫ হাজার ৮৬০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
জেলা সিভিল সার্জন সন্মেলনে কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জলা সিভিল সার্জন ডাঃ নূয়েন খীসা। এসময় বক্তব্যে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল ও রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা। মতবিনিময় সভা শুরুর আগে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক প্রয়াত একেএম মকছুদ আহমেদের উদ্দেশ্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় বলা হয়, ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রাত কানা রোগের প্রাদুর্ভাব এক শতাংশের নীচে কমিয়ে আনতে এবং ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিমুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করতে এ ক্যাম্পেইনের মুল লক্ষ্য। এবার রাঙামাটির দশ উপজেলায় লক্ষ্য রয়েছে ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর ৫ হাজার ৩২৩ জন, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু ১০ হাজার ৫৩৭ জন। ইতোমধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাওয়া গেছে ৯৩ হাজার। সকাল ৯টা থেকে ৪টা পর্ষন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্য কর্মীরা ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নূয়েন খীসা বলেন, ৭০ দশকের দিকে এ অঞ্চলে প্রচুর রাতকানা রোগী থাকলেও এখন নেই আর। অনেকটা রাতকানা রোগতে যাদুঘরে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে টার্গেটকৃত কোন শিশু বাদ যাবে না। যদি বাদ পড়ে পরবর্তীতে খাওয়ানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রত্যান্ত দুর্গম এলাকায় এ ক্যাম্পেইনে কোন শিশু বাদ পড়ে যায় সে ক্ষেত্রে তাদের খুজে বের করে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি এলাকা কেন্দ্রে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়ে তিনি সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতায় এ ক্যাম্পইেন সফলতার কামনা করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.