বৃহস্পতিবার (৭ আগষ্ট) মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিলাইছড়ি কলেজে ত্রিপক্ষীয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিলাইছড়ি কলেজ কর্তৃক অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গমাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিলাইছড়ি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ মামুনুল হক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিলাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মানস বড়ুয়া, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক এর সাধারণ সম্পাদক ও হেডম্যান শান্তি বিজয় চাকমা প্রমূখ। এসময় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিসি বলেন, আপনারা জানেন এই কলেজটি জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । আমরা অনেখানি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে এখানেে এসেছি । এই প্রতিষ্ঠানটি করার পেছনে বহুজনের ভূমিকা রয়েছে, অবদান রয়েছে আমি সকলের অবদানকে স্বশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করছি। এবং স্বীকৃতি দিচ্ছি । তিনি বলেন, তোমরা যারা বিভিন্ন সমস্যার কথা বলছ , অচিরেই তিনতলা ভবন হয়ে যাবে। পাশাপাশি উন্নয়ন বোর্ড থেকে যেহেতু আমি বোর্ডের মেম্বার, তাই বিভিন্ন সময় মিটিংয়ে বলেছি এখান থেকে এক কোটি টাকার একটি বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। সেটাও ভবনের জন্য দেয়া হয়েছে। এই মুহুর্তে আমার দুটি ভবনের দরকার নেই। যেহেতু এখানে এখনো শিক্ষার্থী কম। আমি গত বোর্ড সভাই প্রস্তাব দিয়েছি, এই ভবনটি হবে হোস্টেল। আপনারা যারা অভিভাবকরা শুনছেন আমাকে, আমার যে পরিকল্পনা আছে , যারা দূর-দূরান্ত থেকে ছেলে-মেয়েরা আছে তারা হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা করবে। তিনি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিআকর্ষণ করে বলেন, আমরা কর্মকর্তারা আজ আছি কাল নাই, তাই আপনারা স্থানীয়রা বসে ঠিক করেন কোন দিকে ভবনটা হবে এবং কোন দিকে হোস্টেলটা হবে। আমি খুব শীঘ্রই হোস্টের কাজ শুরু করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আপনাদের সমস্যাগুলোর মোটামুটি সমাধান হয়ে গেছে। মূল সমস্যা হচ্ছে আমার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তাদেরকে আমরা যে বেতন দিই, আসলে এই বেতনে হয়না। হয়তো এটা মফজল উপজেলা বলে তারা সম্মানের সাথে আছে । আশাকরি তাদের সমস্যাও সমাধান হয়ে যাবে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক উপদেশ দেন। তিনি বলেন, তোমরা যারা পাহাড়ী ছেলে-মেয়ে আছো তোমাদের যে প্রথাগত জীবন যাপন চমৎকার, খাবার-দাবার খুবই স্বাস্থ্যসম্মত ও বিজ্ঞানসম্মত। তোমরা অনেক ভোরে উঠনা। সূর্য় উঠার আগে যদি তুমি তোমার ডেইলি পড়া পড়ে ফেলতে পার ,তাহলে তোমার কলেজে এসে না পড়লেও চলবে কিন্তু তোমাকে পড়তে হবে। তোমার প্রতিটা সময়কে হিসাব করতে হবে।
সভা শেষে সকলকে নিয়ে জেলা প্রশাসক অস্থায়ী কলেজ ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপন করেন। এবং ক্যাম্পাসটি ঘুরে ঘুরে দেখেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.