রোববারের (১০এপ্রিল) মধ্যে মাটিরাঙ্গার ২৪টি বাঙ্গালী গুচ্ছগ্রামের রেশনকার্ডধারীদের খয়রাতি রেশন না দিলে রোববার সকাল আটটা থেকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের প্রবেশ পথে গণ-অনশন শুরুর হুমকি দিয়েছে রেশন আদায় সংগ্রাম পরিষদ। নেতৃবৃন্দ বলেন, যতক্ষন পর্যন্ত জনগণের প্রাপ্য রেশন দেয়া হবে না ততক্ষন পর্যন্ত অবস্থান করা হবে।
সোমবার দুপুরে মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষনা দেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা রেশন আদায় সংগ্রাম পরিষদ’র নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা রেশন আদায় সংগ্রাম পরিষদ’র যুগ্ম-সম্পাদক মো: আনিছুজ্জামান। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা রেশন আদায় সংগ্রাম পরিষদ’র সভাপতি শ্রমিক নেতা মো: হাফেজ পাটোয়ারী, সহসভপতি বাবুল হাওলাদার, যুগ্ম-সম্পাদক মো: আইয়ুব আলী, মাটিরাঙ্গা পৌর রেশন আদায় সংগ্রাম পরিষদ’র আহবায়ক মো: রফিকুল ইসলাম মিলন প্রমুখ। এসময় অ-উপজাতিয় গুচ্ছগ্রামের কার্ডধারীদের মধ্যে মো: আবদুল কাদের ডাক্তার, মো: আবদুল মতিন, আমিনুল হক আমিন, শুক্কুর আলী, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি মহল মাটিরাঙ্গার ২৪টি গুচ্ছগ্রামের ৯ হাজার ২‘শ ৬৩ কার্ডধারীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। গত আট মাস ধরে এখানকার মানুষ রেশন না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। উপজেলা পরিষদে কোন কর্মকর্তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হবেনা জানিয়ে তারা বলেন, যেখানে হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে থাকবে সেখানে আর কোন কাজ থাকতে পারে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাটিরাঙ্গা উপজেলা রেশন আদায় সংগ্রাম পরিষদ’র সভাপতি শ্রমিক নেতা মো: হাফেজ পাটোয়ারী বলেন, ১৯ এপ্রিল কার্ডধারীরা রেশনের দাবীতে মাটিরাঙ্গা সদরে অবস্থান নিলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ হাইকোর্টে দায়ের করা রীট প্রত্যাহারসহ এক সপ্তাহের মধ্যে রেশন বিতরনের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সময় শেষ হলেও রীট প্রত্যাহার হয়নি।ফলে রেশন বিতরনের অনিশ্চয়তা কাটেনি। তিনি বলেন, আমরা অনেক সময় দিয়েছি। আর সময় দেয়া হবেনা। আমরা রোববারের আগেই আমাদের রেশন চাই।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মাটিরাঙ্গা পৌর রেশন আদায় সংগ্রাম পরিষদ’র আহবায়ক মো: রফিকুল ইসলাম মিলন অবস্থ বুঝে হরতাল-অবরোধের মতো কঠিন কর্মসুচী দেয়া কথা জানিয়ে বলেন, মানুষের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটেছে। অভাবের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার চেয়ে আমরা সংগ্রাম করে মরতে চাই।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.