মঙ্গলবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের বার্ষিক কার্য সম্পাদন চুক্তির উপর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্যে রাখেন পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, হাজী মুছা মাতব্বর, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, সাধন মণি চাকমা, অমিত চাকমা, থোয়াইচিং মারমা। এসময় পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমা, হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা আবুল মনসুর চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোতোষ চাকমা এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরাসহ কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন বার্ষিক কার্য সম্পাদন চুক্তির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে উপস্থিত সদস্য এবং কর্মকর্তাগণকে অবহিত করেন।
পরিষদের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশ করেন। বিগত এক বছরে কাজের অগ্রগতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি প্রকল্প কাজের সাফল্য ও ব্যর্থতা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন,সরকারের উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নিতে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা এবং স্বচ্ছতার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, পরিষদের কাজের জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে হবে। পরিষদ প্রতি বছর সরকার থেকে যে পরিমান উন্নয়ন বরাদ্দ পায় তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সঙ্গে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে একটি নতুন কৌশল এবং ধারনা।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার অভিপ্রায়ে সরকার এ নতুন ধারনা প্রবর্তন করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সঠিকভাবে করতে পারলে সরকারি বরাদ্দ বাড়বে আর করতে না পারলে বরাদ্দ কমবে। এ কারণে জনগণের স্বার্থে এবং এ জেলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদেরকে সরকারি উন্নয়ন বরাদ্দ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, প্রত্যেক ঠিকাদার উন্নয়ন কাজ এক বছরে যেটুকু করবে সেটুকু সে বিলের টাকা পাবে। কাজের অতিরিক্ত কোন টাকা ঠিকাদারকে দেয়া হবে না। কোন ঠিকাদার যথাসময়ে কাজ করতে না পারলে সে ডিফল্টার হিসেবে চিহ্নিত হবেন এবং পরবর্তীকালে কাজ প্রদানের ক্ষেত্রে তার অগ্রাধিকার বিবেচনায় আনা হবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকারের সঙ্গে চেয়ারম্যান হিসেবে বার্ষিক কার্য সম্পাদন চুক্তির (এ্যানুয়েল পারফর্মেন্স এগ্রিমেন্ট) করার কারণে পরিষদের সকল উন্নয়ন কাজের জবাবদিহীতা তাকে ব্যক্তিগতভাবে এ এলাকার জনগণ এবং পরবর্তীতে সরকারের কাছে করতে হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.