সাম্প্রতিক টানা বর্ষন এবং ইছামতি ও কাউখালী খালের অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে কাউখালী উপজেলা কেন্দ্রীয় কবর স্থান বিলীন হতে চলেছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে যেকোন মূহুর্তে পুরো কবরস্থান বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাউখালী-রানীরহাট প্রধান সড়কের সন্নিকটে কাউখালী উপজেলা সদরে প্রবেশ পথে কেন্দ্রীয় কবরস্থানের ইছামতি ও কাউখালী খালের দূ’অংশে প্রায় ৫/৬শ ফুট মাটির পাড় ভেঙ্গে খালের সাথে মিশে গেছে। এছাড়া দু’অংশে প্রায় ৪শ ফুট রিটানিং ওয়ালও ভেঙ্গে খালে পড়ে গেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কবরের সিংহভাগ ইছামতি ও কাউখালী খালে ভেঙ্গে পড়ে বিলীন যাওয়ার আশংকরা রয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন,কবরস্থান সংলগ্ন কাউখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ইতিমধ্যে সিসি ব্লক স্থাপন করা হলেও কবরস্থানের অংশে কোন সিসি ব্লক না দেয়ায় এ ভাঙ্গন প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খালের অব্যাহত ভাঙ্গনের কারণে ফলে কবরস্থানে কবর দেয়া কয়েকশ লাশ পানিতে ভেসে যাওযার আশংকা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা কাউখালী কেন্দ্রীয় কবরস্থানটির ভাঙ্গন রক্ষার্থে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে,সোমবার দুপুরে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া আকতার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কমল বরন সাহা সহ উপজেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় কবরস্থানের ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন।
কাউখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কমলবরন সাহা জানিয়েছেন দূর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে বড় ধরনের রিটানিং ওয়াল বা সিসি ব্লক করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্ধ না থাকায় উক্ত কবরস্থান রক্ষার্থে কোন প্রকল্প নেয়া যাচ্ছে না। তিনি জানিয়েছেন কবরস্থানের ভয়াভহ এ ভাঙ্গনের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া আকতার বলেছেন কবরস্থানের ভাঙ্গনের বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরো জানিয়েছেন এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটির সাংসদ সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সিসি ব্লক করে দেওয়ার জন্য অবহিত করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.