কাউখালী উপজেলার আইন শৃঙখলা পরিস্থিতি, মানসম্মত শিক্ষা, দূর্ণীতি দমনসহ বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে রোববার মতবিনিময় ও গণশুনানীর আয়োজন আয়োজন করা হয়। “জনসেবার জন্য প্রশাসন” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জনসাধারণ, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে কাউখালীতে অনুষ্ঠিত হল এ গণশুনানী।
কাউখালী উপজেলা অফিসার্স কল্যান ক্লাবে অনুষ্ঠিত রাঙামাটি প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় ও গণশুনানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোঃ শামছুল আরেফীন। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানীতে অন্যানের্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম. চৌধুরী, কাউখালী থানার ওসি আব্দুল আব্দুল করিম। এছাড়াও সভায় সব ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, হেম্যান, কারবারী, ধর্মীয় নেতা, স্কুল কলেজের শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
সভার শুরুতে চা চাষী কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক বশির মিয়া জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিবারই আমারা ভুমি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়না। তিনি জানান, বাঙ্গালীরা উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠিগুলোর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের রেকর্ডীয় জমিতে যাওয়া এবং চাষাবাদ করা থেকে বঞ্চিত। অথচ প্রতিটি পরিবার নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছেন।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, সবার কথা শুনেছি। কিন্তু সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। এর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সরকারী কর্মকর্তারা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আরো সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা সরকারী বরাদ্ধকৃত টাকার ঠিকমত কাজ করছে কিনা সে বিষয়ে জানার অধিকার সাধারণ মানুষের রয়েছে। কারো বিরুদ্ধে নালিশ নয়, মানুষের জীবন মান উন্নয়নে সরকারকে নীতিগত পরামর্শ দিন।
তিনি আরও বলেন, যৗতুক প্রথা, বাল্য বিবাহ দেশে থাকবে না। রাঙামাটির প্রশাসন এসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কেউ ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বাল্য বিবাহের আয়োজন করলে সেজন্য সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও কাজী দায়ী থাকবেন।
বেতবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুদ্দোহা চৌধুরী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিহীন তালিকা তৈরীর বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে যে চিঠি দেয়া হয়েছে তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এতে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠিকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র পাহাড়ী জনগোষ্ঠির কথা উল্লেখ থাকায় এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি সংশোধনের সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি দাবী জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.