পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে বিভিন্ন বিভাগ হস্তান্তর হওয়ার পরও পরিচালনা করছেন অন্য বিভাগ এটি খুবই দুঃখজনক বিষয়। চুক্তি অনুযায়ী সম্প্রতি পর্যটন বিভাগ পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর করা হলেও পর্যটন দিবস পালনে মন্ত্রণালয় থেকে পত্র পাঠানো হচ্ছে অন্য প্রশাসনে। ফলে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, না বিঘ্নিত করা হচ্ছে তা বুঝা যাচ্ছে না। তিনি এ বিষয়ে দ্রুত সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সোমবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সেপ্টেম্বর মাসের জেলা উন্নয়ন কমিটির সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা একথা বলেন।
জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে ডিডিএলজি (উপ-সচিব) মোঃ মাজেদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান’সহ জেলার বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ডিডিএলজি (উপ-সচিব) বলেন, কাপ্তাই হ্রদকে ঘিরে এখানকার জনগণের অনেক কিছু জড়িত। কিন্তু হ্রদে কচুরীপানার সমস্যায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়ছে এবং চিকিৎসা সেবা থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। কচুরীপানা অপসারণ করে মানুষের সহজ যাতায়াত নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণের আন্তরিক সহযোগিতায় ঈদুল আযহা ও কোরবানীতে জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। হিন্দুধর্মালম্বীদের দূর্গাপুজায়ও জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসনে রুবেল জানান, সড়ক ও জনপথের জায়গাগুলো অবৈধ দখলবাজদের দখলে চলে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি উচ্ছেদের বিষয়েও চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
হেডম্যান এসোসিয়েসনের সাধারণ সম্পাদক থোয়াই অং মারমা জানান, বর্তমানে কাপ্তাই লেকে প্রচুর পরিমানে কচুরীপানা হওয়াতে বিভিন্ন জায়গায় জনগণের আসা যাওয়া করতে অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে রোগীদের হাসপাতালে যেতে ও ব্যবসায়ীদের গন্তব্য স্থানে যেতে অসুবিধা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ফায়ার সাভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহকারী পরিচালক বলেন, জেলার বাঘাইছড়ি, রাজস্থলী, নানিয়ারচর ও লংগদুতে ফায়ার স্টেশন নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু হবে। এছাড়া রিভারইন ফায়ার স্টেশনের জন্য বর্তমানে জেলা সদরের ফায়ার স্টেশনের নদীঘাটেই একটি লঞ্চের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.