পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়নের দাবীতে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ২১ অক্টোবর(বুধবার) তিন পার্বত্য জেলায় অফিস-আদালত বর্জন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(জেএসএস)।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৯ নভেম্বর ঢাকায় পার্বত্য চুক্তির ১৭তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা) পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সময়সূচি ভিত্তিক কর্মসূচি(রোড ম্যাপ) ঘোষনার জন্য সরকারকে ৩০ এপ্রিল পর্ষন্ত সময় বেঁধে দেন। উক্ত সময়ের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষনা করা না হলে ১ মে থেকে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৯ জুলাই রাঙামাটি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হাটবাজার-দোকানপাট বর্জন কর্মসূচি পালন করে জেএসএস। এছাড়া একই দাবীতে পার্বত্য বান্দরবান জেলায় ১৯ আগষ্ট সকাল-সন্ধ্যা হাটবাজার-দোকানপাট বর্জন কর্মসূচি পালন করা হয়। অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ২১ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলায় অফিস-আদালত বর্জনের কঠোর কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জেএসএস।
জেএসএস সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে চলমান অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে আগামী ২১ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলায় সকল অফিস-আদালত বর্জন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন ও সফল করতে ইতোমধ্যে তিন জেলায় লিফলেটসহ প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে।
জেএসএস-এর কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার বিভাগের সহ-সম্পাদক সজীব চাকমা জানান, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের চলমান অসহযোগ অন্দোলন কর্মর্সূচি হিসেবে আগামী ২১ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলায় সকল সরকারী-বেসরকারী অফিস আদালত বজর্ন কর্মসূচি ডাকা হয়েছে। এ চলমান অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি আগামী ২ ডিসেম্বর পর্ষন্ত চলবে এবং পরবর্তীতে চুক্তি বাস্তবায়নের দাবীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে।
তিনি আরও জানান, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তির ১৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও পার্বত্য চুক্তির মৌলিক বিষয়কগুলো বাস্তবায়নের সরকার এগিয়ে আসেনি। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না করে সরকার চুক্তিকে সম্পুর্ণ অবহেলিত ও উপেক্ষা করে রেখেছে। চুক্তির মৌলিক বিষয়ের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি কমিশনের সংশোধিত আইন সংসদে পাস না করাসহ ইত্যাদি মৌলিক বিষয় বাস্তবায়ন না করে সরকার নানান চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী ও জনমতকে সম্পুর্ণ উপেক্ষা করে রাঙামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ স্থাপন কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.