বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর ৪২বছর পূর্তি এবং জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ৫ গুণীজনকে সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে শুক্রবার রাঙামাটিতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শহীদউল্লাহ ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জেবুন্নেসা রহিম। বক্তব্যে রাখনে,জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক বুলবুল ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার অনুসিনথিয়া চাকমা।
আলোচনা সভা শেষে জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় পাঁচজন গুণীজনকে নগদ ১০হাজার টাকা, সম্মাননা ক্রেষ্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। পাচঁ গুণীজন হলেন, কন্ঠ সংগীতে মনোজ বাহাদুর, চারুকলায় বিজয় দত্ত, নৃত্য কলায় ঝর্না রায়, ফটোগ্রাফীতে অমিয় কান্তি চাকমা ও লোকসংকৃতিতে রমনী মোহন চাকমা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর ৪২বছর পূর্তির কেক কাটেন অতিথিরা। পরে শিল্পকলা একাডেমী শিল্পীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, বেশী উন্নত সে দেশ ততই উন্নত। সামাজিক পরিবেশ সুষ্ঠ রাখতে সংস্কৃতির কোন বিকল্প নেই। তাই সমাজের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের আমাদের সম্মান করতে হবে। গুণীজনদের সম্মান করলে আরো গুণী ব্যক্তির সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, এ সম্মাননা প্রদান অব্যবহৃত রাখলে এ জেলা থেকে আরো প্রতিভাবান গুণীজন উঠে আসবে এবং পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি আরো বিকশিত হবে। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে এদেশের সংস্কৃতির উন্নতির কথা চিন্তা শিল্পকলা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বলেই আমরা সংস্কৃতির দিক দিয়ে আজ বিশ্বের কাছে পরিচিত। জাতির পিতার এ অবদানের কথা কখনো ভূলবার নয়।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, একটি দেশের জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে সমাজের গুনী ব্যাক্তিদের সম্মাননা করতে হবে। জেলা পরিষদ ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর মাধ্যমে জেলার অন্যান্য গুণীজনদেরও আগামীতে এ ধরনের সম্মাননা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, একটি জেলার শিল্প ও সংস্কৃতি যখন সামনের দিকে এগিয়ে যায় তখন দেশও সামনের দিকে এগিয়ে যায়। সংস্কৃতির মাধ্যমে বিশ্বের মাঝে দেশের পরিচিতি লাভ করে থাকে।
তিনি আরো বলেন, রাঙামাটি জেলায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বসবাস এবং নৃত্য, সঙ্গীত, ক্রীড়া, শিল্পসহ অনেক গুনে গুনান্বিত ব্যক্তি ও ঐতিহ্য রয়েছে। সমাজের এসব গুণীজনদের সঠিকভাবে সন্মান দিতে পারলে সংস্কৃতির আরো বিকশিত হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.