বৃহস্পতিবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। এসময় পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এসএম জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, পরিষদের কর্মকর্তা ও হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক রমনী মোহন চাকমা জানান, ষ্ট্রবেরী চাষের পাইলট প্রকল্পের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বোরো মৌসুম শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানান, সময় মতো কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা না কমায় জলে ভাসা জমিতে চাষাবাদে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। হ্রদে এলাকাধীন বিভিন্ন উপজেলার চাষীরা এ বিষয়ে জানতে কৃষি অফিসে যোগাযোগ শুরু করেছে। তিনি হ্রদের পানি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে কমানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্্র এর ব্যবস্থাপক আলো বিকাশ চাকমা বলেন, ২০১৬ সাল পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘাষিত হওয়ায় বিদেশী পর্যটকদের জন্য শতকরা ৩০ ভাগ এবং অভ্যান্তরীণ পর্যটকদের জন্য শতকরা ২০ ভাগ রেয়াত ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের বিনোদনের জন্য পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স এলাকায় টয় ট্রেন স্থাপনের জন্য পরিষদের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২৩টি মেরামতের কাজ চলছে। এছাড়া জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যালয় নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে।
পিগ ফার্মের প্রতিনিধি জানান, জেলার শুকরচাষ উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণের নিমিত্ত প্রস্তাবাধীন ২৫ কোটি টাকার প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষাধীন অবস্থায় আছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে এ জেলায় শুকর চাষ উন্নয়নে প্রভূত উন্নতি সাধিত হবে।
শিল্পকলা একাডেমির প্রতিনিধি জানান, ২১ শে ফেব্রুয়ারী শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলায় বিভিন্ন্ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৫জন গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পরিষদ চেয়রম্যান বৃষকেতু চাকমা সকল বিভাগের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেশ কিছু হস্তান্তরিত বিভাগ তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না। দায়িত্ব পালনে সমন্বয়হীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসেবে সরকারি কর্মকর্তারা জনস্বার্থে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, সবাই সরকারি আইন, বিধি মেনে চললে সমন্বয়ের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বর্তমান পরিষদ কারো উপর কর্তৃত্ব করার জন্য দায়িত্ব নেয়নি। জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্যে দায়িত্ব নিয়েছে। পরিষদ স্থানীয়ভাবে সকল সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে থাকে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.