অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও তাদের হুকুমদাতাদের আইনের আওতায় এনে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার।
তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পাহাড়ের যুবকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করছে। সম্প্রতি বাঘাইছড়িতে তাদের একটি স্থানীয় আঞ্চলিক দলের এক সন্ত্রাসীকে অস্ত্রশস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে আইন শৃংখলা বাহিনী। আর এটি সম্ভব হয়েছে জনসচেতনতার কারণে।
তিনি আরও বলেন, একে অপরের পরিপূরকভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চল তথা দেশ থেকে জঙ্গী নির্মূল করতে হবে।
শুক্রবার রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যেজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এসব মন্তব্য করেন।
জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্র্যাট মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জেবুন্নেসা রহিম, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ-সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে।
আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক বুলবুল। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার অনুসিনথিয়া চাকমা।
আলোচনাসভা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
আলোচনা সভায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যা করে দেশে জঙ্গী বীজ বপন করেছে জঙ্গীরা। কিন্তু তার সুযোগ্য কণ্যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গী নির্মূলে সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, জঙ্গীদের মদদদাতারা দেশে তাদেও দিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী চালিয়ে একটি বৈধ সরকার সরকারকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের উন্নয়ন কাজ করছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধমে জঙ্গীরা সেই উন্নয়ন কাজে বাধাগ্রস্থ করছে। কিন্তু জনগন তাদের এ কার্যক্রমে কোনদিন সঙ্গ দেবে না। তিনি বলেন, সকলে সচেতন হলে এ দেশ থেকে জঙ্গীবাদ চিরতরে নির্মূল করা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, জঙ্গীবাদ নির্মূলে প্রশাসনের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। নিজ সন্তানরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে কোথায় যায় কাদের সাথে মেলামেশা করে এ বিষয়ে খোঁজ খবর রাখতে হবে। নিজ ও প্রতিবেশীদের সন্তানদের স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে দেশ প্রেমে উজ্জীবিত করতে হবে। তবেই সন্তানরা জঙ্গীবাদের দিকে অগ্রসর হবে না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.