পার্বত্য এলাকার যে কোন আন্দোলন কর্মসূচী পার্বত্য এলাকা থেকেই ঘোষণা করা হবে। পার্বত্য এলাকার বাইরে থেকে যারা ইমেইলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হরতাল অবরোধসহ আন্দোলনের কর্মসূচী দেয় তাদেরকে বয়কট করা হবে।
পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার রাঙামাটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
সংবাদ সন্মেলনে নেতৃবৃন্দ সংশোধিত পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন বাতিলের দাবীতে আগামী ৯ নভেম্বর পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ রাঙামাটিতে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষনা দেন।
শহরের কাঠালতলীস্থ পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ জেলা শাখার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন পার্বত্য ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বির আহমেদ। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য ভূমি রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুর জ্জামান খান।
সংবাদ সন্মেলনে আরো বলা হয়,যারা পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিশ্রম করে রাজপথে থেকে বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে তাদেরকে উপদেষ্টা পরিষদ নামধারী কতক গুটি কয়েক নেতা যারা ঢাকা বা কুমিল্লায় বসে থেকে প্রেস রিলিজ দিয়ে মন মর্জি মোতাবেক প্রয়োজনে কাছে টেনে নিয়ে তাদের দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করানো আর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তাদের অব্যাহতি বা বহিস্কার করার নীতি থেকে বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদকে বেরিয়ে আসতে হবে। তারা ত পার্বত্য এলাকায় কোন প্রকার হরতাল বা অবরোধ কর্মসূচী পালন করতেও আসেন না।
সংবাদ সন্মেলনে পার্বত্য ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বির আহমেদ বলেন, তিনি এখনও বৈধ সভাপতি। কারণ ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে যেহেতু কোন অভিযোগ আনা হয়নি, তিনি পদত্যাগও করিনি এবং তার বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযোগের কারনে তাকে কোন শোকজও করা হয়নি বা কোন কারন দর্শনোর কথাও বলা হয়নি।
এছাড়া তার সাথে বা কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে কোন সভাও করা হয়নি এবং কেউ তার বিরুদ্ধে কোন অনাস্থা প্রস্তাবও আনেনি তাই তিনিই পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের বৈধ কেন্দ্রীয় সভাপতি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.