সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দল কাদের এমপি বলেছেন, সরকার আগামী নির্বাচনের আগে নব্বই শতাংশ পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সরকার পার্বত্য ভূমি কমিশন গঠন করেছে।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে শান্তি লক্ষে আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই পার্বত্য শান্তি চুক্তি অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করা হবে। পাহাড়ী জন পদের মানুষকে পিছিয়ে থাকতে দেয়া হবে না। অন্ধকারে আলো আসবে। ঘরে ঘরে বাতি জ¦লবে, চলাচলের জন্য রাস্তা হবে,চলতে থাকবে উন্নয়ন প্রক্রিয়া। উন্নয়নের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার দারিদ্রতা যাদু ঘরে পাঠানো হবে।
মঙ্গলবার খাগড়াছড়ির রামগড়ের তাকে দেয়া সংবর্ধনা ও জন সমাবেশে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, খাগড়াছড়ির সব রাস্তার উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ। শুধু মাত্র মহালছড়ি- জালিয়া পাড়া সড়ক বাকী এ কাজ ও দ্রুত করা হবে। এর মধ্যে খাগড়াছড়িতে ১৮টি ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ, ৩৪ টি ব্রীজের কাজ চলছে। পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য সরকার বদ্ধ পরিকর।
তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কলহ কোন্দল করে দলে থাকার কারো অধিকার নেই। কিছু কিছু বসন্তের কোকিলের জন্য দলের প্রকৃত ত্যাগী নেতারা যেন কোন থাসা না হয়। নির্বাচন পরবর্তী দলের কোন্দল সৃষ্টি করলে আর ক্ষমা করা হবে না। খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কোন্দল দীর্ঘ দিনের,পৌর নির্বাচনের পর থেকে খাগড়াছড়িতে জেলা আওয়ামীলীগ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছিল।
তিনি খাগড়াছড়িতে এসে দীর্ঘদিনের দলীয় কোন্দল মিটিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সাথে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহেদুল আলমকে হাত মিলিয়ে দেন। এবং এক যোগেকাজ করার জন্য নির্দেশ দেন।
রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বাস স্টেশন মাঠে আয়োজিত জনসভায় এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার,খাগড়াছড়ির জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা,সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী,খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহেদুল আলম। এছাড়া জেলার নেতাকর্মীরা ও সরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জন সমাবেশ শেষে তিনি রামগড়ের উন্নয়ন মূলক কাজের সোনাই পুলের নির্মানাধীন ব্রীজের কাজ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি খাগড়াছড়ি শহরের অভিমুখে যাত্রা করেন। তিনি খাগড়াছড়ির জন সমাবেশে যোগদান শেষে রাঙামাটির উদ্দেশ্য রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.