এগ্রোবেজড ফুড, ফার্নিচার, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিষয়ে দক্ষ কারিগর গড়ে তোলার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকে দুদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্ধোধন করা হয়েছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ স্কীল ফর এম্পøয়মেন্ট প্রডাক্টিভিটি (বি-সেফ) প্রজেক্ট আইএলও ঢাকা-র অর্থায়নে এবং স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র ও প্রোগ্রেসিভ এর সহযোগিতায় পরিষদের সভা কর্মশালার উদ্ধোধন করেন জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমেদ, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা, আইএলও’র কনসালটেন্ট ফিরোজ আহমেদ মোল্লা, আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা, প্রোগ্রেসিভের নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তা সুখেশ্বর চাকমা।
প্রাথমিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে সেলাই, হোটেল, ফার্নিচার’সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৮০জন প্রধান বা ওস্তাদ অংশ নেন। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি পরিচালনায় রয়েছে আইএলও’র কনসালটেন্ট ফিরোজ আহমেদ মোল্লা।
উদ্ধোধনকালে পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি হওয়ার ফলে পার্বত্যাঞ্চলে আজ সরকার ও দাতা সংস্থারা নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছে। চুক্তির পর থেকেই আমরা এর সুফল ভোগ করছি। সরকারের আন্তরিকতায় পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় ইউএনডিপি কর্তৃক পরিচালিত ৮১টি স্কুল জাতীয়করণ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে সরকার ও আইএলও এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথম রাঙ্গামাটিতে শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণ কর্মশালাকে যদি প্রশিক্ষণার্থীরা নিজেদের মতো করে না নেয় তাহলে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সফলতা আসবেনা। সুতরাং আপনাদের উপর নির্ভর করবে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার সফলতা বা ব্যর্থতা। প্রশিক্ষণে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সুফল বয়ে আনতে পারলে এই প্রকল্পটি চলমান থাকবে।
তিনি সরকারের ২০২১ ও ২০৪১সালের রূপকল্পকে বাস্তবায়ন করতে ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.