মঙ্গলবার জুরাছড়ি উপজেলায় ভূমি জোনিং খসড়া ম্যাপ যাচাই করণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়নাধীন উপজেলা সম্মেল কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ শওকত আকবর।
কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উদয় জয় চাকমা, জুরাছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইউসুফ সিদ্দিকী পিপিএম। এসময় জুরাছড়ি, বনযোগীছড়া, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সোসাল এন্ড ইনস্টিটিউশন্যাল এক্সপাট মোঃ মিজানুর রহমান।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ভূ-সম্পদ আজ নানা ভাবে মারাত্মক অবক্ষয়ের সম্মুখীন। মানুষ বাড়ছে, একই সাথে বাড়ছে তাদের জীবন ও জীবিকার চাহিদা। তাই চাহিদা ও প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে মানুষ ভূমি অপরিকল্পিত ও অপরিমিত ব্যবহার করছে। যার ফলে ভূমির অবক্ষয় আজ সর্বত্র দৃশ্যমান।
প্রবন্ধে আরো বলা হয়, দেশে প্রতিদিন ২২০ হেক্টর আবাদী জমি অপরিকল্পিত ভাবে বাড়ী-ঘর, কল-কারখানা, রাস্তা ঘাট ও শিল্প স্থাপনা নির্মাণ ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে আবাদি জমি হ্রাস পাওয়াসহ পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বর্তমানের মাথা পিছু চাষযোগ্য জমি ১৪ শতক থেকে হ্রাস পেয়ে অর্ধেকেরও নীচে নেমে আসার আশংকা রয়েছে। যা আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় মারাত্ম বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ শওকত আকবর বলেন, জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি সুপারিশ অনুযায়ী কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন একটি খসড়া প্রস্তÍত করা হয়েছে। খসড়াটি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পেশাজীবি, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি, স্টেকহোল্ডার এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আইনবিদ কর্তৃক যাচাইয়ান্তে চুড়ান্ত করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.