• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সাম্বার হরিণটিকে বাঁচানো গেল না                    রাঙামাটিতে সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি’র রিজেন্ট বোর্ডের ৭ম সভা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি`র নির্মানাধীন দুটি ভবন থেকে চাঁদার দাবিতে দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র মহড়া                    রাঙামাটি জেলা পরিষদে নিয়োগ ও শিক্ষা বৃত্তিতে বৈষম্য বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন                    রাঙামাটিতে এইচএসসির পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক                    বিলাইছড়িতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন                    রাবিপ্রবি’তে একাডেমিক কাউন্সিলের ১২তম সভা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি’তে পরিকল্পিত বনায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন                    রাঙামাটিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে সনাক-টিআইবি’র অ্যাডভোকেসি সভা                    খাগড়াছড়িতে বীর শহীদদের প্রতি আরাফাত রহমান কোকোর ক্রীড়া পরিষদের শ্রদ্ধাঞ্জলী                    সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের গ্রেড উন্নীতকরণের দাবীতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি                    পাহাড়ে খড়ের পরিবর্তে শুকনা কলা পাতায় মাশরুম চাষে সাফল্য                    লংগদুতে গৃহবধূকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে এক যুবক আটক                    পাহাড়ে হাতি ও মানুষরে দ্বন্দ্ব কমছে                    রাঙামাটিতে ৮৫ হাজার ৮৬০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে                    শিশুর যৌন নির্যাতনকারী দাদুকে আটক করেছে পুলিশ                    রাঙামাটিতে দাদুর যৌন নির্যতানের শিকার নাতিনী                    রাজস্থলীতে বাচ্চা প্রসবকালে বন্য হাতির মা ও শাবকের মৃত্যু                    সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আঃলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা                    পাহাড়ে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমাতে মিডওয়াইফারি নার্সিং সেবা বৃদ্ধির উদ্যোগ                    
 
ads

কাপ্তাইয়ে রেশম চাষ করে ১৫ দিনেই ভাগ্য বদল

নজরুল ইসলাম লাভলু,কাপ্তাই(রাঙামাটি) : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 30 Apr 2017   Sunday
no

no

রেশম চাষ করে মাত্র ১৫ দিনেই ভাগ্য বদলে দিয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে বারঘোনা তনচংগ্যা পাড়ার রেশম চাষীদের।


লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী রেশম গুটি (যা থেকে সুতা তৈরি করা হয়) উৎপাদন করে চাষীরা বেজায় খুশি। তনচংগ্যা পাড়ার কয়েক চাষীকে দিয়ে প্রাথমিক ভাবে রেশম চাষ শুরু করা হয়। এতে তারা সফলও হয়েছে। উৎপাদিত রেশম গুটি দেখে অনেকেই রেশম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফলে রেশম শিল্প পুনরায় তার হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।


“রেশম চাষ বদলে দিতে পারে পার্বত্যবাসীর জীবনধারা” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্র ৭৫০ জন পাহাড়ি-বাঙ্গালি বেকার যুবক যুবতীকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে এক প্রসংশনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে সকল চাষীর প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০০৯-২০১২ সাল পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ৩ কোটি ত্রিশ লাখ টাকা। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আর্থিক সহায়তায় “প্রজেক্ট অন সেরিক্যালচার রির্সাচ এন্ড টেকনোলজি ডেসিমিনেসন ইন হিলি ডিস্ট্রিকস্” নামের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সষ্টিটিউটের মাধ্যমে।

 

ইতিমধ্যে প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটি জেলাধীন কাপ্তাইয়ের তনচংগ্যা পাড়া রাজস্থলী উপজেলার শফিপুর, ঝুরঝুরিপাড়া, নয়াঝিরিপাড়া ও খাগড়াছড়ি জেলাধীন পানছড়ি উপজেলার হাতিমারায় মোট ১০০ জন চাষীকে মাথাপিছু ২০০টি করে উন্নত জাতের তুঁত চারা প্রদান করা হয়। ওই চারাগুলি বর্তমানে উৎপাদনশীল হয়েছে। এসব চাষীদের মধ্যে ১৫জনকে আদর্শ পলুপালনকারী হিসাবে তৈরী করা হয়েছে। এসব চাষীদের পলুঘর, হাইগ্রোমিটার, ডালা, চন্দ্রকী সহ পলুপালন সামগ্রী বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।


টেষ্টকেস হিসেবে ১৫ জন রেশম চাষীকে ২৫টি ডিম থেকে উৎপাদিত ১০ দিন বয়সী পলু (রেশম পোকা) সরবরাহ করা হয়েছে। সরবরাহকৃত পলু থেকে ২২ কেজি রেশম গুটি উৎপাদিত হয়েছে। এক্ষেত্রে চাষীরা ৫০ অথবা ১০০ ডিম থেকে উৎপাদিত পলু নিয়ে গুটি উৎপাদন করতে পারবে। অর্থ্যাৎ তারা যত বেশি ডিম থেকে উৎপাদিত পলু নিবে ততবেশি রেশম গুটি উৎপাদন করতে পারবে। এভাবে বছরে ৪ বার রেশম গুটি উৎপাদন করা যাবে। ১৫ দিন পর্যন্ত গুটি উৎপাদন না হওয়া পর্যন্ত রেশম গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তাগণ সার্বিক সহযোগীতা ও পর্যবেক্ষন করে যাবে। কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগীতায় চাষীরা পলুপালন করে আশানুরূপভাবে গুটি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক গুটি উৎপাদন করায় এলাকার চাষীরা বেজায় খুশি।

 

উৎপাদিত রেশম গুটি বিক্রিতে তাদের তেমন কোন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। রেশম গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষই উৎপাদিত গুটি কেজি ৩০০ টাকা হারে তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করছে। ঝামেলামুক্ত এবং বিনা পূঁজিতে (মুলধন) রেশম কীটের বীজ, পলুঘর সহ বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়ায় অনেকেরই রেশম চাষের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অত্র অঞ্চলে রেশম চাষের মাধ্যমে রেশম শিল্পের হারানো ঐহিত্য ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠেছে।

 

এব্যাপারে তনচংগ্যা পাড়ার চাষী কলমপতি তনচংগ্যা, ধনপতি তনচংগ্যা, রূপালী তনচংগ্যার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা রেশম চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছে। আগামীতে আরো বেশি গুটি উৎপাদনের জন্য বেশি বেশি পলুপালন করার আগ্রহ দেখিয়েছে। এ রেশম চাষ করে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে বলে তারা জোর দিয়ে বলেন।

 

এ বিষয়ে প্রকল্প কর্মকর্তা কামনাশীষ দাশের দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে তিনি বলেন, এলাকার চাষীরা রেশম চাষে বেশ উৎসাহি এবং এ এলাকার আবহাওয়া রেশম চাষে বেশ উপযোগী হওয়ায় আরো একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। প্রস্তাবটি পাস হলে অত্র এলাকার মানুষ রেশম চাষের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে আরো বেশি সাবলম্বি হয়ে উঠবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

 

ads
ads
আর্কাইভ