• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
পার্বত্য চট্টগ্রামে ছয় মাসে ১০৩টি মানবধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেছে                    কাপ্তাইয়ে সাতটি দোকান পুড়ে ছাই                    জুরাছড়িতে এসডিজির স্থানীয়করণ এবং ত্বরানিত লক্ষে কর্মশালা                    আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সাম্বার হরিণটিকে বাঁচানো গেল না                    রাঙামাটিতে সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি’র রিজেন্ট বোর্ডের ৭ম সভা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি`র নির্মানাধীন দুটি ভবন থেকে চাঁদার দাবিতে দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র মহড়া                    রাঙামাটি জেলা পরিষদে নিয়োগ ও শিক্ষা বৃত্তিতে বৈষম্য বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন                    রাঙামাটিতে এইচএসসির পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক                    বিলাইছড়িতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন                    রাবিপ্রবি’তে একাডেমিক কাউন্সিলের ১২তম সভা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি’তে পরিকল্পিত বনায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন                    রাঙামাটিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে সনাক-টিআইবি’র অ্যাডভোকেসি সভা                    খাগড়াছড়িতে বীর শহীদদের প্রতি আরাফাত রহমান কোকোর ক্রীড়া পরিষদের শ্রদ্ধাঞ্জলী                    সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের গ্রেড উন্নীতকরণের দাবীতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি                    পাহাড়ে খড়ের পরিবর্তে শুকনা কলা পাতায় মাশরুম চাষে সাফল্য                    লংগদুতে গৃহবধূকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে এক যুবক আটক                    পাহাড়ে হাতি ও মানুষরে দ্বন্দ্ব কমছে                    রাঙামাটিতে ৮৫ হাজার ৮৬০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে                    শিশুর যৌন নির্যাতনকারী দাদুকে আটক করেছে পুলিশ                    রাঙামাটিতে দাদুর যৌন নির্যতানের শিকার নাতিনী                    
 
ads

এমএন লারমার ৩১তম মৃত্যূ বার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন

বিশেষ প্রতিবেদক : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 09 Nov 2014   Sunday

 

 

 

জুম্ম জাতীয় চেতনার অগ্রদূত এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সাংসদ শহীদ মানবেন্দ্র নারায়ন লামার(এমএন লারমা)  সোমবার ৩১ তম মৃত্যূ বার্ষিকী। এ উপলক্ষে রাঙামাটি জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(জেএসএস)উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। জানা গেছে, এমএ লারমার ৩১ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে রাঙামাটির উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কালোব্যাজ ধারন, প্রভাতফেরী, অস্থায়ভাবে তৈরী শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শোক সভা, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস বাতি উড়ানোর কমূসূচি গ্রহন করেছে। রাঙামাটি শহরে পার্বত্য  চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেলা শাখার উদোগে সকালে পৌর সভা প্রাঙ্গন থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গন পর্ষন্ত প্রভাতফেরী, পুষ্পমাল্য অপর্ণ, স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করবেন জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার সভাপতি গুনেন্দু বিকাশ চাকমা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশাজীবি নেতৃবৃন্দের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।  বিকাল ৩টার দিকে শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এমএ লারমার ৩১ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান  অতিথি থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্রবোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা)। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর জনসংহতি সমিতির বিভেদপন্থী গ্র“পের বিশ্বাসঘাতকতামূলক সশস্ত্র হামলায় তিনিসহ আটজন সহযোদ্ধাসহ খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির গভীর জঙ্গলের এক গোপন আস্তানায় নির্মমভাবে শাহদাৎ বরণ করেন। এমএন লারমা ১৯৩৯ সারে ১৫ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি শহর থেকে ১২ দূরে অবস্থিত মহাপ্র“ম নামক স্থানে(বর্তমানে কাপ্তাই বাধেঁর কারণে বিলুপ্ত) জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা) বড় ভাই ছিলেন। এমএন লারমা ১৯৭২ সালে ১৫ ফের্রুয়ারী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠিত হয় এবং তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। পরে তিনি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয়ী হন।  আদিবাসী জনগনের আতœনিয়ন্ত্রনাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তৎকালীন সময়ে সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে আত্নগোপণ করেন এমএন লারমা এবং তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী জনগণের আত্ননিয়ন্ত্রনাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সামরিক উইনিং ‘শান্তিবাহিনী, নামে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করে। ১৯৭৬ সালের দিকে পার্বত্য চট্টগ্রমে ‘শান্তিবাহিনীর, সামরিক তৎপরতা শুরু হয়। ১৯৮২ সালে ২৪ জুন জনসংহতি সমিতির দ্বিতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এ সন্মেলনের পর আদর্শগত ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যের কারণে জনসংহতি সমিতি শেষ পর্ষন্ত দ্বিধাবিভক্ত হয় এবং ১৯৮৩ সালের ১৪ জুন সর্ব প্রথম লারমা গ্র“প (লম্বা)ও প্রীতি গ্র“প(বাদি) পরস্পর সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ১৯৮৩ সালে ১০ নভেম্বর বিভেদপন্থী প্রীতি গ্র“প হামলা চালিয়ে সংগ্রামী নেতা এমএন লারমাকে তার আটজন সহযোগীসহ নির্মমভাবে হত্যা করে। এমএন লারমার মৃত্যূ হলে তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার (সন্তু)দায়িত্ব নেয়ার পর পার্টির তৃতীয় কংগ্রেস সন্মেলনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(শান্তিবাহিনী) আবারও শক্তিশালী হয়ে উঠলে ১৯৮৬ ও ৮৯ সাল পর্ষন্ত নব উদ্দীপনায় সংগ্রাম চালালে বাংলাদেশ সরকার জনসংহতি সমিতির সাথে শান্তি বৈঠকে বসতে রাজি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর জনসংহতি সমিতি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ঐতিহাসিক ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

 

সংশ্লিষ্ট খবর:
ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ