বান্দরবানের লামা উপজেলার শীতার পারি এলাকায় দুর্বৃত্তরা সৃজিত বাগানের ১২ বছর বয়সী সাড়ে ৩ হাজার রাবার গাছ ও ৫ বছর বয়সী ১ হাজার বেলজিয়াম গাছ আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে একজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আসামী করে লামা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ১১ মাচ এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার লামা বাজারের বাসিন্দা অংক্যচিং মার্মা প্রকাশ কালা লামা বাজারের একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ব্যবসার উপার্জিত অর্থ দিয়ে ধীরে ধীরে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী এলাকার মাতামুহুরী নদীর তীরে শীতার পারি এলাকায় পাহাড়ী জায়গা ক্রয় করে রাবার ও বনজ বাগান করেন। অংক্যচিং মার্মার ১২ বছর ধরে গড়ে তোলা তার সৃজিত বাগানে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লামা পৌরসভা এলাকার চাম্পাতলী ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোঃ শাহ আলম(৫০) ও মৃত অংজাইন প্রু মার্মার ছেলে উমংসিং মার্মা(৪৬) শূকনো পাতা ও খড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে বাগানের আগুন ছড়িয়ে পড়লে বাগানটি পুড়ে যায়। এ সময় আগুন নিভাতে গিয়ে বাগানের নিয়োজিত মংছিংহ্লা নামের এক শ্রমিক আহত হয়। বাগানের ৩ হাজার ৫ শতটি রাবার গাছ ও ১ হাজার বেলজিয়াম গাছ পূড়ে যায়। এতে বাগান মালিক অংক্যাচিং মার্মার ৩১ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন। এছাড়া অংক্যাচিং মার্মার বিক্রিত একটি রাবার বাগানের পাশে সাড়ে ৪ একরের একটি প্রাপ্ত বয়স্ক সেগুন বাগানের কর্তনকৃত গাছের বিভিন্ন সাইজের গাছের কাঠও পুড়ে যায়। এতে ক্রেতা আব্দুর রহিমের লক্ষাধিকের অধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বাগানের মালিক বাদী হয়ে শাহ আলম ও উমংসিং মারমার বিরুদ্ধে লামা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী অংক্যাচিং মার্মা জানান, তার রাবার বাগান জ্বালিয়ে দিয়ে তাকে নিঃস্ব করে দেয়া হয়েছে। ১২ বছর ধরে তিনি কায়িক পরিশ্রমের অর্জন ও স্বপ্ন মুহুর্তের মধ্যে ধ্বংস হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন দুর্বৃত্তরা এর আগেও অনেকবার তার বাগান দখল করতে চেয়েছিল। তা দখলে নিতে পেরে ১১ মার্চ পরিকল্পিতভাবে তার বাগানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
লামা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই অপু বড়–য়া বাগান পুড়ে যাওয়ার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা অন্য আরেকটির মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.