দীঘিনালায় শশী মোহন কার্বারী পাড়া থেকে নির্মিতব্য বিজিবি’র ৫১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের স্থান অন্যত্র নির্ধারণ এবং উচ্ছেদ হওয়া ভারত প্রত্যাগত ২১ পরিবারকে তাদের নিজ জমিতে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক প্রদীপন খীসা এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বিজিবি’র ৫১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনের নামে জোরপূর্বক জমি দখল ও নিরীহ গ্রামবাসীকে উচ্ছেদ কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না। কারণ এটা কেবল অমানবিক ও অবিচার নয়, তা দেশের সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারেরও পরিপন্থী।”
প্রদীপন খীসা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বেদখলকৃত স্থানে ইমারত নির্মাণের জন্য বিজিবি’র কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “উচ্ছেদ হওয়া ভূমি মালিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজিবির ৫১ ব্যাটালিয়নের জন্য অবৈধ জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি এখন মহামান্য হাইকোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত আদালতের স্থিতাবস্থার নির্দেশ অগ্রাহ্য করে বিজিবি`র ভবন নির্মাণ আদালত অবমাননা ছাড়া আর কিছুই নয়।”
ইউপিডিএফ নেতা উচ্ছেদ হওয়া ২১ পরিবার ও দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটির দাবি ও চলমান আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে বলেন, “বিজিবির কাউকে উচ্ছেদ না করে অন্যত্র তার ৫১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর নির্মাণের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু উচ্ছেদ হওয়া অসহায় পরিবারগুলোর এখন আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।”
তিনি ১৫ মার্চ উচ্ছেদ হওয়া ২১ পরিবারের পক্ষে দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটির আয়োজিত ১৫ মার্চের শান্তিপুর্ণ পদযাত্রায় বাধা প্রদান, অংশগ্রহণকারীদের উপর নির্বিচার হামলা ও গুলি এবং গণ গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটককৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার দাবিও তুলে ধরেন।
--হিলবিডি২৪.সম্পাদনা/সিআর.