খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়ায় নির্মাণাধীন ৫১ বিজিবির ব্যবটালিয়ন সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠায় বাধা প্রদান, কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা, আইন-শৃংখলা বাহিনীর কার্যক্রমে বাধা এবং অপপ্রচারের প্রেক্ষপটে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিজিবি।
শুক্রবার খাগড়াছড়ি বিজিবির সদর সেক্টও হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৫১বিজিবি’র পরিচালক লে: কর্ণেল কামাল আহমেদ। এসময় সদর সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন এবং চট্টগ্রাম পূর্ব-পশ্চিম রিজিয়নের(বিজিবি) অপরেশন অফিসার লে: কর্ণেল তৌহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন লে: কর্ণেল তৌহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশের সর্বমোট ৪,৭২৭ কি:মি: সীমান্তের মধ্যে ৫৩৯কি:মি: অরক্ষিত রয়েছে। এরমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৪৭৯কি:মি: অরক্ষিত আছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্রের অনুপ্রবেশ রোধসহ সীমান্ত এলাকার জনসাধারণ এবং তাদের জনমালের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে নিয়োজিত এবাহিনীর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে বিজিবি পুর্ন:গঠন ২০০৯ এর আওতায় সীমান্ত সুরক্ষার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় দীঘিনালার বাবুছড়ায় সীমান্তবর্তী এলাকায় সরকারি অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিয়ে ৫১বিজিবি ব্যাটলিয়ন সদর দফতর স্থাপনের কাজ শুরু করা হলেও আঞ্চলিক একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরোধীতা করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপর দফায় দফায় হামলা এবং অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের টাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অধিগ্রহণ আইন মোতাবেক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু একটি মহলের ভয়ে তারা এসব টাকা গ্রহণ করছেন না বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.