জুম্ম জনগণের আত্ম নিয়ন্ত্রণাধিকার আন্দোলন জোরদারকরণে পার্টি সংগঠনকে শক্তিশালী করুন - এ স্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার থেকে দুইদিনব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার ৫ম সম্মেলন শুরু হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক প্রণতি বিকাশ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ১৭ বছর অতিবাহিত হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নের পরিবর্তে সরকার প্রতিনিয়ত চুক্তি লঙ্ঘন করেই যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অঘোষিত সেনা শাসন চলছে; ফলে জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার, ভূমি অধিকার, অর্থনৈতিক ও শাসনাধিকার এখনো ফিরে পায়নি। যে দলীয় সরকারের সাথে চুক্তি হয়েছিল সেই সরকার পার্বত্যবাসীদের সাথে প্রতারণা করে চলেছে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য পার্টির সভাপতির ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ এপ্রিলের পর সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব উছোমং মারমার স্বাক্ষরিত একপ্রেস বার্তায় বলা হয়,রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের আন্তাপাড়াস্থ কমিউনিটি সেন্টারের সম্মুখে সন্মেলনে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক প্রণতি বিকাশ চাকমা ও সংগঠনের বান্দরবান জেলা শাখার সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন।
বিশেষ অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য লয়েল ডেভিড বম, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার সহÑসভাপতি উছোমং মারমা, বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াপতং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শম্ভু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও রুমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি, বান্দরবান জেলা শাখার সভানেত্রী ও বান্দরবান সদর উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ওয়াইচিং প্রু মারমা। সভা সঞ্চালনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলা শাখার সহ-সভাপতি শ্রী চিংহ্লামং চাক। সম্মেলনে প্রায় চার শতাধিক প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষক অংশগ্রহণ করেন
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে শক্তিপদ ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অন্যতম প্রধান সমস্যা হল ভূমি সমস্যা। চুক্তি অনুযায়ী ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীন উদ্বাস্তুদের ভূমি ফেরত প্রদানে কথা থাকলেও এ পর্যন্ত কোন ভূমি ফেরত দেয়া হয়নি। অধিকন্তু প্রতিনিয়ত সেনা, বিজিবির ক্যাম্প স্থাপন ও সম্প্রসারনের নামে আদিবাসীদের ভূমি কেড়ে নিতে শুরু করেছে। তাছাড়া পর্যটন কেন্দ্র, ইকোপার্ক, হোটেল-রেষ্টুরেন্টের নামে, রাবার ও হর্টিকালচার লীজের নামে এবং বিভিন্ন উপায়ে অবৈধভাবে ভূমি বেদখল অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন না করে সরকার স্বেচ্ছাচারী হয়ে জুম্মজনগণ যা চায় না সেটা প্রদানের মাধ্যমে জুম্মজনগণকে ধ্বংস করতে চায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.