পাহাড় ধসের ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষে রোববার কাপ্তাইয়ের দুইশত জন অসহায় পরিবারের সদস্যের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
পাহাড় ধসে কাপ্তাইয়ের ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারের মাঝে রোববার সেনাবাহিনী কাপ্তাই ১০ বেঙ্গলের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙামাটিতে পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় শহরের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত মাঝে রোববার ঈদের নতুন কাপড় বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন, সেনা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা।
সালেহা খাতুন, বয়স ৭০। পাহাড় ধসে ছেলে দরবেশ আলীকে হারিয়ে এখনো শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এখন দু বছর ও ছয় বছরের নাতি-নাতিনীকে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে দিন কাটাচ্ছেন।
পাহাড় পড়ে ঘটনায় রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি-ঘাগড়া সড়ক শনিবার থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে লামায় সহস্রাধিক দু:স্থ নারী পুরুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ রবিউল হোসেন ভুঁইয়া এই বস্ত্র বিতরণ করেন।
কাপ্তাই উপজেলার ছোট্ট রোহান(৬) পাহাড় ধসের ঘটনার ৩ দিন আগে তার বাবার কাছে বায়না ধরেছিল ঈদের জামা কিনতে সে এবার চট্টগ্রাম শহরে যাবে।
পাহাড় ধসের ঘটনার পর রাঙামাটির পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকের শূন্য অবস্থায় বিরাজ করছে। আসন্ন ঈদ ছুটিকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত হোটেল ও মোটেলগুলোতে অগ্রিম রুম বুকড হয়েছে তাও অধিকাংশ বাতিল করা হয়েছে।
পাহাড় ধসের ঘটনায় জেলার আভ্যন্তরীণ সড়ক রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি এবং আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের যানবাহন চলাচল এখনো চালু হয়নি।
রাঙামাটিতে ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসনের জন্য চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
রাঙামাটিতে ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ির শালবন এলাকায় বিধস্ত হওয়া সড়ক বুধবার হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে
রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় দীর্ঘ ৮দিন বিচ্ছিন্ন থাকার পর বুধবার রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে