খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় একমাত্র স্থলবন্দরটি মে মাসের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সংযোগ ব্রীজ নির্মানের অবকাঠামো কাজ শুরু করবে । চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সংযোগ ব্রীজ নির্মানে দ্রুত কাজ শুরু করবে উভয় কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার রামগড় মহামুনি-ত্রিপুরা সাব্র“ম সীমান্ত ব্রীজ নির্মান স্থান যৌথ পরিদর্শন শেষে এ কথা জানানো হয়েছে ।
এর আগে জেলার রামগড় উপজেলার সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর উপর বাংলাদেশ-ভারত স্থলবন্দর কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে ভারতীয় অর্থায়নে রামগড়-সাব্র“ম সংযোগ ব্রীজ নির্মানে দু’দিনের সফরের প্রথম দিন ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ও ২৮এপ্রিল ভারতের প্রতিনিধি দল রামগড় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের পর্যালোচনা বৈঠক শেষে রামগড় মহামুনি-ত্রিপুরা সাব্র“ম সীমান্ত ব্রীজ নির্মান স্থান পরিদর্শন করেন ।
পরিদর্শনকালে ভারতের সাব্র“ম ইন্জিনিয়ার কমল সরকারের নেতৃত্বে ৬সদস্যের প্রতিনিধি দলে এসডিও ইন্জিনিয়ার রাজ কুমার দাস, সাব্র“ম এসিষ্টেন ইন্জিনিয়ার পাওমানিক জয়ন্তি, ডিজাইন ইন্জিনিয়ার নাভিন জয়শাল, এলএম ভৌমিক, সাব্র“ম জিএম জৌতিশ দেববর্মা উপস্থিত ছিলেন ।
বাংলাদেশের পরিদর্শন দলের আহবায়ক মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, বাংলাদেশের রামগড় মহামুনী এলাকার সাব পিলার ২২১৫-এস এর ৭থেকে১০নং পিলারের মধ্যে ভারতীয় অর্থায়নে সম্ভাব্য ১৮০মিটার লম্বা সেতু নির্মান করা হবে । সেতুটি বাংলাদেশ স্থলভাগে ৪০মিটার জলভাগে ১০০মিটার ও ভারতের স্থলভাগে ৪০মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মান, জমি অধিগ্রহনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সচিবালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ আব্দুল মালেককে আহবায়ক করে ৮সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সদস্য সচিব অতিরক্তি প্রকল্প পরিচালক সওজ মোঃ আব্দুল বাকী মিয়া, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম পওর সার্কেল তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোল্লা মিজানুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ন(দক্ষিণ এশিয়া) সহকারী সচিব মোঃ মোরশেদুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরীর অধিদপ্তর সহকারী অফিসার মোঃ পারভেজ মিয়া, পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়–য়া, বিজিবি’র সেক্টর গুইমারা জিটুআই মেজর শাহীন ও রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.