রাঙামাটিতে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য কিনা মোহন চাকমা হত্যা মামলার রায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। সাক্ষী প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় আরো আট আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার রাঙামাটি জেলা ও জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক মোঃ আহসান তারেক চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা সদর থেকে রাস্তার মাথা নামক স্থানে কিনা মোহন লঞ্চে উঠার সময় এক দল দুর্বৃত্ত তাকে অপহরণ করে। অপহরণের চার দিন পর কিনা মোহন চাকমার লাশ উদ্ধার হয়। পরে কিনা মোহন চাকমান ছেলে প্রিয় কুমার চাকমা জুরাছড়ি থানায় মামলার দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে ২০০৭ সালে ১১ জনকে আসামি করে আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করে। বুধবার মামলা রাঙামাটি জেলা ও দায়রা আদালতে তোলার পর আদালতে বিচারক বিচারক মোঃ আহসান তারেক এ মামলার রায় দেন। রায়ে আদালত তিন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন। তবে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে বুদ্ধমনি চাকমা উপস্থিত থাকলেও দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি সুবল চন্দ্র চাকমা ও হৃদয় কুমার চাকমা পলাতক রয়েছেন। এছাড়া মামলায় সাক্ষী প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় আরো আট আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাস প্রাপ্ত আসামিরা হলেন,ননাবাবু চাকমা, জয়ন্ত লাল চাকমা,সত্যবীর দেওয়ান,তপন চাকমা, রনজিত চাকমা,মায়া চান চাকমা, উদয় জয় চাকমা ও বিমল কান্তি চাকমা। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর প্রতীম রায় পাম্পু ও আসামিদের পক্ষের আইনজীবি উষাময় খীসা।
আসামী পক্ষের আইনজীবি উষাময় খীসা বলেন, এ মামলার আসামিদের মধ্যে আটজনকে খালাসের রায় দিয়েছেন সন্তুষ্ট হলেও কারাগারে থাকা দন্ডপ্রাপ্ত আসামি বুদ্ধমনি চাকমার খালাসের জন্য আদালতে আপিল করা হবে। উচ্চতর আদালত থেকে সন্তোষজনক রায় পাওয়া যাবে বলে আশা করি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি পাবলিক প্রসিকিউটর প্রতীম রায় পাম্পু বলেন, এ হত্যা মামলার রায়ে বিজ্ঞ বিচারক তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থ দন্ড দিয়েছেন। একই মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.