শনিবার রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পূর্ণবাসন কেন্দ্রের ২৮জন ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ৮হাজার ৪শত টাকার শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পূর্ণবাসন কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পূর্ণবাসন কেন্দ্রের সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও সমাজসেবা বিভাগের আহ্বায়ক স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, সদর উপজেলা পরিষদের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পূর্ণবাসন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার প্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে অতিথিরা শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও পুরস্কার বিতরণ করেন। পরে পরিষদ চেয়ারম্যান প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কেন্দ্রে প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষনার্থীদের সেলাই প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্ধোধন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক বলেন, অতীতে যেমন এ প্রতিবন্ধীদের কল্যানে কাজ করেছেন তেমনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এ কল্যাণে কাজ করে যাবেন।
প্রতিবন্ধীদের নিজের সন্তানের মতো করে দেখি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,এ প্রতিষ্ঠান থেকে জাতীয় পর্যায়ে খেলে এক প্রতিবন্ধী পুরস্কার অর্জন করে রাঙামাটির সুনাম অর্জণ করেছে। এছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ ফলাফল অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এতেই বুঝা যায় সুযোগ পেলে তারা বিশ্বকে জয় করতে পারবে। প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান অতিথির বক্ত্যবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, নিয়ম অনুসারেই জেলা পরিষদে প্রতিবন্ধীদের নিয়োগে কোটা সংরক্ষন করা হবে। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের একটি অংশ তাদের বোঝা না ভেবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে শিক্ষা,ক্রীড়া’সহ দেশের সকল উন্নয়নমূলক কাজে সম্পৃক্ত করলে তারাও সম্পদে পরিণত হবে এবং দেশের সুনাম অর্জণে বিরাট ভূমিকা রাখবে। প্রতিবন্ধিদের বাদ দিয়ে দেশ কখনো সামনের দিকে এগুতে পারবে না। তিনি বলেন, বৃহত্তর রাঙামাটি জেলায় প্রতিবন্ধীদের পূর্নবাসন কেন্দ্র হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রাচীন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। অতীতে যেভাবে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষীকারা শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাদান করেছে ঠিক তেমনি বর্তমান এবং ভবিষ্যতেও তাদের নিজেদের সন্তানের মতো করে যতœ ও শিক্ষাদান করবেন। তিনি আগামীতে পরিষদ থেকে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন ও পূর্নবাসন কেন্দ্রের জায়গা নিয়ে যে জটিলতা রয়েছে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সমাধানেরও প্রতিশ্র“তি ব্যাক্ত করেন।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের যাতায়াতের বিষয়ে জেলা পরিষদ থেকে যানবাহন প্রদানের বিষয়ে আগামী অর্থবছরে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ও স্কুলমুখী করার জন্য পরিষদ থেকে ১লক্ষ টাকা প্রদানের ঘোষনা দেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইল চেয়ার প্রদানেরও আশ্বাস দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.