হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমার অপহরণ মামলার তদন্তের প্রতিবেদন মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতে ২৪ তম শুনানী অনুষ্ঠিত হলেও পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করা হয়নি। তবে আদালত থেকে পরবর্তী মামলার শুনানীর জন্য যে কোন দিন আদেশ দেয়া হতে পারে বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।
জানা গেছে, রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাজী মোহাম্মদ মোহসেনের আদালতে এ ২৪ তম শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীর সময় মামলার বাদী কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে সময়ের আবেদন জানান আদালতের পরিদর্শক মো. আবুল কালাম।
বাদী পক্ষের আইনজীবী জুয়েল দেওয়ান আদালতকে বলেন, কোন সময়ে মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা সম্ভব হবে সেই অনুযায়ী দেয়া হোক। সেটি হতে পারে এক মাস, আড়াই মাস। শুধু সময় নিয়ে কোন তদন্তের কোন অগ্রগতি হবে না তা হতে পারে না।
উলে¬খ্য, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউ লাইল্যাঘোনা গ্রাম থেকে অজ্ঞাতনামা দৃস্কৃতকারীরা অপহরন করে নিয়ে যায়। অবশ্যই কল্পনা চাকমার পরিবার ও তার সংগঠনের পক্ষ থেকে সেনা বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ফেরদৌসকে দায়ী করেছিল। সরকার জনমতের চাপের মুখে একটি বিচার বিভাগীয় কমিটির গঠন করলেও রিপোর্ট আজও প্রকাশিত হয়নি। অবশেষে এক যুগেরও অধিক সময়ের পর ২০১০ সালের ২১ মে পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করে। এতে মামলার বাদী ও অপহৃতার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা না রাজি দাবি করে ঘটনার পুনঃতদন্তের জন্য আদালতের কাছে দাবি জানান। আদালত পুনতদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিলে ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। তবে আদালত সিআইডির দেয়া প্রতিবেদনটি যথাযথ হয়নি তা প্রত্যাখান করে রাঙামাটির পুলিশ সুপারকে মামলার অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.