শনিবার পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট্য ব্যাক্তিদের সম্মানে আলোচনা সভা ও ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদ অফিস সম্পাদকমো: খলিলুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়,মগবাজার ওয়ারলেছ নিকটস্ত “ক্যান্টন চাইনীজ রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভা ও ইফতার পার্টির প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল(অবঃ) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম (বীর প্রতীক)। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জি: আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল (অবঃ) আয়ুব চৌধুরী,দিগন্ত টেলিভিশন,উপ-নির্বাহী পরিচালক,মজিবুর রহমান মন্জু। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের মহাসচিব এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ রাজু , নারী নেত্রী ফাতেমা খাতুৃন (রুনা), দৈনিক ইনকিলাবের সহ-সম্পাদক মেহদি হাসান পলাশ,পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ,মো: সাব্বির আহমেদ, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো: সরোয়ার জাহান খান , সিনিয়র সহ সভাপতি মো: ইব্রাহিম মনির, সহ সভাপতি (ঢাবি) আবদুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো:সাদেকুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মো:ওমর ফারুক সুজন, যুগ্ন সম্পাদক মো:সাহাদাত হোসেন (সাকিব ), সহ-সাধারণ সম্পাদক মো:শাহ আলম ফাহিম, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক মো: ইউসুফ, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম (বীর প্রতীক) বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অবহেলিত বাঙালীদের অধিকার আদায় করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই, পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। শিক্ষা চিকিৎসাসহ সকল মৌলিক অধিকার গুলোতে পাহাড়ে বসবাসরত সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
ইফতার মাহফিল শেষে কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরী এক সভায় পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বির হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন সাকিবকে সভাপতি, সরোয়ার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক, ওসমান গনী ফোরকানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ঢাকা মহানগরীর কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া তার বক্তব্যে ৮ দফা দাবী তুলে ধরেন। সেগুলো হল শিক্ষা, চাকুরিসহ সকলক্ষেত্রে উপজাতি কোটা বাতিল করে পার্বত্য কোটা চালু করা, ব্যবসা ক্ষেত্রে পাহাড়ীদের ন্যায় বাঙালিদেরকেও ইনকাম ট্যাক্স ও ভ্যাট মুক্ত করতে হবে, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং পাহাড়েিদর ন্যায় বাঙালি ছাত্রছাত্রীদের জন্য ছাত্রাবাস নির্মাণ করা, দেশি বিদেশি বিভিন্ন এনজিও স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুসংহত রাখা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবির ভূমিকা জোরালো করা। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ,পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন বোর্ডের, ট্রাস্কফোর্স ও তিনটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সকল পদে পাহাড়ী বাঙালি নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহনে অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা,ভূমি কমিশন আইন ও হ্যাডম্যান প্রথা বাতিল করে সকল নাগরিকের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পাহাড়ী বাঙালি নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কার্যকরী ও সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.