বান্দরবান ছাত্রলীগের জেলা শাখার সন্মেলনে হামলার ঘটনায় ২১ জন নেতা-কর্মীকে বহিস্কার করা হয়েছে। সোমবার জেলা আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক জরুরী সভায় এ বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বান্দরবান জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের সাধারন সম্পাদক কাজী মোঃ মজিবর রহমানসহ দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ জুন শহরের রাজার মাটে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা আহসানুল হক রুমু, জাকির হোসেন,মোঃ আরিফ,সাইফুল ইসলাম,যুবলীগ নেতা বাপ্পি মল্লিক,সোহরাব হোসেন কুট্টি, ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোঃ ইব্রাহিমসহ ২১ জন নেতা-কর্মীকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদের মধ্য থেকে ৭ নেতা-কর্মী এ ঘটনায় দায়েরকৃত দ্রুত বিচার আইনে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন।
এছাড়াও জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে হামলার জন্য দায় স্বীকার করে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। জেলা ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হওয়ায় ও সংগঠনের মধ্যে বিশৃংখল অবস্থা বিরাজ করায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদত ও জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষিপদ দাশ। তিনি আরও জানান বহিস্কৃতরা শুধু ছাত্রলীগের সম্মেলনে হামলা নয় ইতোপুর্বে তাদের বিরুদ্ধে আনেক অভিযোগ রয়েছে। যা সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর।
সূত্র আরও জানায়,আহসানুল আলম রুমু,জাকির হোসেন,মোঃ আরিফ,সাইফুল ইসলাম,যুবলীগ নেতা বাপ্পি মল্লিক,সোহরাব হোসেন কুট্টি, ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনের মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। এ মামলায় ১৮ জন আসামীর মধ্যে ১১ জনকে আদালত অব্যাহতি দিলেও সংগঠন থেকে তাদের বহিস্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ৬ জুন বান্দরবানের রাজার মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুরের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের সম্মেলনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.