দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি রাজ বন বিহারে শুক্রবার সিবলী পূজা, মহাস্থবির বরণ ও ঘ্যাং ঘর(ভিক্ষু সীমাঘর) উদ্ধোধন করা হয়েছে।রাজ বন বিহার মাঠে সকালের দিকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল, বুদ্ধ পূজা, সিবলী পূজা, অষ্টাপরিস্কার দান, বুদ্ধমূর্তিদান, পঞ্চশীল প্রার্থনাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ধর্ম দেশনা দেন রাজ বিহারের আবাসিক ভিু সংঘের প্রধান ও বনভান্তের অন্যতম শিষ্য শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ও বৃগু মহাস্থবি । এ সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা,সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ানসহ গন্যামান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।অপরদিকে দুপরের দিকে অনুষ্ঠানের শুরুতে বুদ্ধমূর্তি দান, অষ্টপরিস্কার দানসহ পঞ্চশীল ও অষ্টপরিস্কার প্রার্থনা করা হয়। পরে রাঙামাটি রাজ বন বিহারের অবস্থান ২৬ জন বৌদ্ধ ভিুকে মহাস্থবির হিসেবে ক্রেস ও চীবর হাতে তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেন দায়ক-দায়িকারা। অনুষ্ঠানে ধর্মদেশনা দেন রাজ বিহারের আবাসিক ভিু সংঘের প্রধান ও বনভান্তের অন্যতম শিষ্য শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ও ইন্দ্রগুপ্ত মহাস্থবির।অনুষ্ঠানে বক্তব্যে দেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায়। স্বাগত বক্তব্যে দেন রাজ বন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক প্রতুল বিকাশ চাকমা।এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান, সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে পরিনির্বাণ প্রাপ্ত বনভান্তের রেকডকৃত ধর্মীয় দেশনা বাজানো হয়। এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দুরদুরান্ত এলাকা শত শত বৌদ্ধ নারী-পুরুষ অংশ নেন।পরে রাজ বন বিহারের পাশে অবস্থিত ঘ্যাং ঘর-এর ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন রাজ বন বিহারের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.