মঙ্গলবার লামা উপজেলায় সফর করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী। সফরের সময় উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম উদ্বোধনসহ উন্নয়ন সভায় অংশগ্রহণ করেন।
লামা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত অর্থ বিতরণ, কৃষক সমাবেশ ও নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার পরিষদের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, লামা সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার আল মাহমুদ হাসান, সহকারী ভূমি কমিশনার মোঃ জাহিদ আক্তার, লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, লামা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, লামা পৌরসভার সাবেক মেয়র সাংবাদিক তাজুল ইসলাম, , গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াই চিং চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
এদিকেজেলা প্রশাসক লামা টাউন হলে বাল্য বিবাহ রোধ ও জৈব সারের ব্যবহার বিষয়ক কৃষকের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে লামা উপজেলা থেকে শতভাগ বাল্য বিবাহ রোধ করতে উপস্থিত শত শত লোকজনকে হাত তুলে শপথ করান জেলা প্রশাসক। এছাড়া কারিতাস চট্টগ্রাম অঞ্চল কর্তৃক ইএসএলপি-সিএইচটি/সিড়িঁ প্রকল্পের অধিনে লামায় অতি বৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সদর ইউনিয়ন ও পৌরসভার ২৪৮ জন উপকারভোগীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, বাল্য বিবাহ সমাজের জন্য অভিশাপ। বাল্য বিবাহ বন্ধ করা না গেলে নারী সমাজের উন্নয়ন ও নারীদের অধিকার আদায় অসম্ভব। মাদক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য যুব সমাজ ধ্বংসের মূলকারণ। মাদক নিয়ন্ত্রনে পরিবারের পাশাপাশি প্রশাসন ও সমাজকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন। তা না হলে পরিবারের মাদকাশক্ত যুবকরা আজীবন পরিবারের বোঝা হয়ে থাকবে। সমাজের সকল স্তরের মানুষ এগিয়ে না আসলে মাদকের ব্যবহার রোদ করা কোন ভাবেই সম্ভব না।
অন্যদিকে, লামা টাউন হলে কৃষক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক কীটনাশক সার পরিহার করে জৈব সার ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.