“বোইদে বোইদে ঘরত থেলে হিয়ে পিরে অয়। সেনে হাম গরং। সক্কে ভাতও হেই ন পারং। বো-পোয় হাম ন গুরিবার হন। ম, নিজ ইচ্ছেয় হাম হরং। হাম হরলে হিয়ে পিরে ন অয়। শরীর গম তাই। ভাতও হেই পারং।” অর্থাৎ বাসায় বসে থাকলে শরীর ব্যাথা হয়। তখন ভাত খেতে পারি না। সে জন্য কাজ করি। ছেলে ও পুত্র বধূ কাজ না করার জন্য বাধা দেয়। আমি নিজের ইচ্ছায় কাজ করি। কাহ করলে শরীর ভালো থাকে। তখন ভাতও খেতে পারি।
১৮ অক্টোবর ভর দুপুর ক্ষেতে কাজ করার ফাকে এসব কথাগুলো বলেন ৮৯ বৎসর বয়স্ক সূর্ষমূখী চাকমা।
তিনি আরও জানান, শরীরকে সুষ্ঠু রাখার জন্য সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় অনেকটা মনের সূখে ক্ষেতে কাজ করে থাকেন। তাঁর স্বামী দ্বীন বন্ধু চাকমা ৬ বছর আগে মারা যান। চার ছেলে ও দুই মেয়ে তার। তিনি পানছড়ি উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের দক্ষিণ নালকাটা গ্রামের ছোট ছেলে লক্ষণ দাস চাকমার বাড়ীতে থাকেন। ছেলে ও পুত্র বধূ কাজ না করার জন্য বাঁধা দিলেও উল্টো করে নিজের ইচ্ছায় কাজ করেন জানান তিনি।
ছেলে লক্ষণ দাস চাকমা জানান, তার মাকে কাজ না করার জন্য বলে কোন কথা না শুনে ক্ষেতে কাজ করতে যান। তবে কাজ করলে তাঁর শরীর ভাল থাকে। কাজ না করলে শরীর ভাল থাকে না।
গ্রামের কার্বারী প্রশন্ন কুমার চাকমা বলেন, ছোটকাল থেকে দেখছি সূর্ষমূখী চাকমা শুধু কাজ করেন। কারোর সাথে কোনো ঝগড়া নেই। কাজ আর কাজ শুধু বোঝেন তিনি।
লতিবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শান্তি জীবন চাকমা বলেন, সূর্ষমূখী চাকমারাই হচ্ছেন সত্যিকার অর্থে কৃষক। সেই ছোট কাল থেকে কাজ করতে করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। এখন বৃদ্ধ বয়সে কাজ না করে ঘরে বসে থাকলে তাঁদের শরীর খারাপ লাগে।
তিনি আরও বলেন এর আগে তিনি বয়স্ক ভাতা পেতেন না। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বয়স্ক ভাতা কার্ড করে দেয়ায় তিনি নিয়মিত বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.