পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সংসদ মহান নেতা মানেবেন্দ্র নারায়ন লারমার ৩২ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে জুরাছড়িতে প্রভাতফেরী ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলার শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে জনসংহতি সমিতির জুরাছড়ি উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক গুনেন্দু বিকাশ চাকমা। সংগঠনের জুরাছড়ি উপজেলা শাখা জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান উদয় জয় চাকমা সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী দেওয়ান,জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার ভূমি বিষয়ক সম্পাদ রনজিৎ দেওয়ান, হেডম্যান সন্তোষ দেওয়ান, মায়া নন্দ দেওয়ান, কেন্দ্রিয় মহিলা সমিতির সভানেত্রী জরিতা চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক অধিরাম চাকমা, রাঙামাটির যুব সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নান্টু ত্রিপুরা। এসময় সংগঠনের নেতাকর্মীসহ উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সাবেক সংসদ জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানেবেন্দ্র নারায়ন লারমাসহ অন্যান্যদের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। এর আগে ভোরে প্রভাত ফেরী ও উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মানেবেন্দ্র নারায়ন লারমা অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।
স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে গুনেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ও জাতিগত নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষের যে শুভ বোধ ও সুচিন্তা তার পক্ষেই লড়াই করেছেন মানবেন্দ্র লারমা। ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে গণমানুষের মুক্তিই ছিল তাঁর স্বপ্ন ও সাধনা।
তিনি আরো বলেন, এমএন লারমা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক, জাতিগত-অর্থনৈতিক বৈষম্যমুক্ত গণতান্ত্রিক মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখতেন। কিন্ত বাংলাদেশ নৃতাত্বিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক যে নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে, তা ভয়ংকর ও মর্মন্তদ। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় আদিবাসীদের বসতিবাড়ী, জুম-কৃষিজমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সেখানে স্থাপিত হচ্ছে বাঙালি বসতি, বাজার, সামরিক, আধা সামরিক স্থাপনাসমূহ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.