বরকলের ভূষণছড়া গণহত্যায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত পূর্বক ফাঁসির দাবীতে মঙ্গলবার ঢাকায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ মানববন্ধন ও সমাবশে করেছে।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদঅফিস সম্পাদকমোঃ খলিলুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাকিব। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আহাম্মদ রাজু, পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো: সারোয়ার জাহান খান,সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইব্রাহিম মনির,সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সাদেকুর রহমান,কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আলম ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মো:খলিলুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া ৩২ বছরেও ভূষনছড়া হত্যার বিচার হয়নি তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১৯৮৪ সালের ৩১ মে রাঙামাটির বরকেলর ভূষণছড়া গণহত্যা দিবস পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ এবং ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। যাকে বলা হয় ভূষণছড়া গণহত্যা।
তৎকালীন শান্তিবাহিনীর হাতে অসংখ্যবার পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিরা গণহত্যার শিকার হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন,এসব হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে রাজনগর গণহত্যা, পাকুয়াখালী ট্রাজেডি, মাটিরাঙ্গা গণহত্যা, ভূষণছড়া গণহত্যা উল্লেখযোগ্য। আর পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েক শত বছরের ইতিহাস ঘাটলেও ভূষণছড়া গণহত্যার মতো এত বড় ধ্বংসযজ্ঞের আর কোন নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। এতে চার শতাধিক নিরস্ত্র নিরীহ মানুষকে হত্যা এবং সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়।
তিনি হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে ফাঁসী দেয়া,সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের ঘোষনা বাতিল,পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার অপসারণ এবং পার্বত্য এলাকা থেকে অবৈধ অস্র উদ্ধারসহ ৮ দফা দাবী জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.