বান্দরবানে ও বিলাইছড়ি উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও অংগসংঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার সভাপতি সুবর্ণ চাকমা। বক্তব্যে রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ভূমি ও কৃষিবিষয়ক সম্পাদক চিংহ্লামং চাক, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জোনাকী চাকমা, যুব সমিতির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরুণ ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির সভাপতি অন্তিক চাকমা প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জনসংহতি সমিতির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নীলোৎপল খীসা ও মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুপ্রভা চাকমা।
এর আগে একটি বিক্ষোভ-মিছিল শহরের জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বনরুপা এলাকা ঘুরে জেলা প্রসাশন কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, হয়রানি ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশে ১৫ জুন মিথ্যা মামলায় জড়িত করে বান্দরবানের জনসংহতি সমিতির নেতা উচসিং মারমাকে এবং ১৪ জুন জনসংহতি সমিতির শান্তিপূর্ণ অবরোধ চলাকালে ছাত্র নেতা সুনীতিময় চাকমাকে গ্রেফতার করা হয়। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরো অভিযোগ করে বলেন, জনসংহতি সমিতি ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের হয়রানি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের অসহযোগ আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে এই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এখানে সরকারী দল ও স্থানীয় প্রশাসনের একটি মহল ষড়যন্ত্র করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও সেটেলারদের দিয়ে জনসংহতি সমিতির শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলনকে অশান্তিপূর্ণ পথে নিয়ে যেতে বাধ্য করছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বরকলের ভূষণছড়ার ছোট হরিণা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে ও উক্ত নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে আহুত সড়ক ও জণপথ অবরোধ কর্মসূচিকে বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বলে জেএসএস নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন।
নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে মামলা দিয়ে, হামলা করে ও দমন-পীড়নের মধ্য বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হলে এই আন্দোলন অগণতান্ত্রিক পথে ধাবিত হতে বাধ্য হবে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
বান্দরবানের কথিত অপহরণ ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন রেখে নেতৃবৃন্দ বলেন, মংপু মারমার বাড়ির চারিদিকে পুলিশ ক্যাম্প, সেনা ক্যাম্প ও বিজিবির সদর দপ্তর রয়েছে, তা সত্ত্বেও এই নিরাপত্তা বেষ্টনী থেকে তাকে কীভাবে অপহরণ করা হলো?
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.