অবিলম্বে রাঙামাটিসহ পার্বত্য এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করা না হলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী ও অংগ সংগঠনের নেতা কর্মি একযোগে পদত্যাগ করে সভানেত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামীলীগের ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ মতামত ব্যক্ত করেন।
রাঙামাটি চেম্বারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এসময় স্থানীয় মহিলা সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান মাহবুব, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মুছা মাতব্বরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ, ১০টি উপজেলা আওয়ামী লীগ, শহর আওয়ামী লীগ, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে দলের সমর্থনে অংশ গ্রহনকারী বিজয়ী ও বিজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ৪৮টি ইউপির মধ্যে অধিকাংশ দূর্গম কেন্দ্র গুলিতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জেএসএস, ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী ভোটের দিন সকাল ১০ থেকে ১১টার মধ্যে অস্ত্রের মুখে জাল ভোট প্রদান করে শতাকরা ৮০ভাগ ভোট প্রদান সম্পন্ন করে ফেলে। এ নির্বাচন অস্ত্রবাজির নির্বাচন হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নৌকা সমর্থক শত শত নেতা কর্মিদের মারধর, জীবন নাশের হুমকি দিয়ে, নৌকার সমর্থক হওয়ার অপরাধে অর্থ দন্ড দিয়ে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিনত করা হয়েছিল। ভোটের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাঙামাটি এসে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বাস্তবে তা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃংখলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করার ফলে অস্ত্র নির্ভর আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের বিজয়ী করা হয়েছে।
বক্তারা আরো বরেন,অস্ত্রবাজি নির্ভর স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো আগামী ২০১৭ সালের মধ্যে পার্বত্য এলাকা থেকে আওয়ামীলীগসহ জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোতে নির্মূল করার এক ষড়যন্ত্র মূলক টার্গেট পরিকল্পনা করেছে। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় রাজনৈতিক দলের সমর্থক উপজাতীয় জনগনকে অপহরণ, খুন, জখম, নির্যাতন এবং ক্রমাগত হুমকী প্রদান করে যাচ্ছে তারা। সরকার যদি এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না করে, তাহলে প্রাণে বেঁচে থাকার জন্য নিজেদের নিজ নিজ নিরাপত্তার জন্য পাল্টা অস্ত্র সজ্জিত হওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নাই।
বক্তারা অভিযো করে বলেন, পবিত্র রমজান মাসে জেএসএস রাঙামাটিতে একের পর এক দুই দিন, তিন দিন ধরে হরতাল অবরোধ ঘোষণা করছে এখানে বড় ধরনের গোলযোগ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাজিয়ে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করা।
জেএসএস কর্তৃক পুন:রায় সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে আগামী ১৯ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত যে অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে, তার বিরুদ্ধে প্রশাসন যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করলে ভুক্তভোগী সাধারণ জনগনকে সাথে নিয়ে এই অবরোধ ভেঙ্গে ফেলা হবে হুমকি দেয়া হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.