অপহৃত আ’লীগ নেতাকে উদ্ধারের দাবিতে ও প্রতিবাদে বান্দরবানে লাগাতার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলা আ’লীগের এক সভার সিদ্ধান্তে লাগাতার অবরোধের স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার অপহৃত সদর উপজেলা আ’লীগ নেতা মংপু মারমাকে উদ্ধারে জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালন করা হয়। জেলা শহরের বাস ষ্টেশন থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটির উদ্দেশ্যে কোনো যান ছেড়ে যায়নি। অবরোধে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পিকেটাররা শহরের ভিতরে রিক্সা থেকে শুরু করে কোনো যান চলাচল করতে দেয়নি। শহরের ট্রাফিক মোড়ে ও বালাঘাটা বাজারের রাস্তার উপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে, বাঁশ ফেলে দিয়ে, ভ্যানগাড়ী রেখে ও রাস্তায় ক্রিকেট খেলে অবরোধ পালন করেন। এতে করে সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ বলেন, চলমান অবরোধ অপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে অবরোধ পুনরায় বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুক্রবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে যান চলাচল করতে পারবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণের তিন দিন পেরিয়ে গেছে। এখনো উদ্ধার করতে পারেননি আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন অপহৃতের পরিবার।
অপহৃতের ভাই চিংসামং মার্মা, শ্যালক গছি অং মার্মা ও জামাতা হ্লামংচিং মার্মা জানান, মংপু মার্মাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পাবেন কিনা এই নিয়ে তারা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় রয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা বা আত্বীয়রা অপহৃত ব্যক্তিকে ফিরে পাওয়ার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
আ’লীগ নেতাদের দাবি আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা তাকে অপহরণ করেছে। অবশ্য তাদের এ দাবি অস্বীকার করে আসছেন পিসিজেএসএসের নেতারা।
সদর থানার ওসি মো: রফিক উল্লাহ জানান, মামলা হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার অবরোধ চলাকালীন সময়ে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ, সোমবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সদর উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মংপু মার্মাকে জামছড়ি এলাকা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.