সন্ত্রাসীরা ভবনে বোমা মেরে প্রাণ নাশের হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার রাঙামাটিতে সাংবাদ সন্মেলন করেছেন বিদেশ ফেরত এক পরিবার। তবে পুলিশের দাবী পাবিবারিক কলহের জের ধরে এ হুমকির কারণ।
রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন কোরিয়া থেকে ফেরত বশির আহম্মেদ। এসময় তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তিন সন্তান উপস্থিত ছিলেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, তিনি দীর্ঘ ১১ থেকে ১২ বছর দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসে থাকাকালে তার আয়ের রোজগারকৃত অর্থ দিয়ে তার নিজ নামে চট্টগ্রামের সেনানিবাস সংলগ্ন ভাটিয়ারি এলাকায় একটি বসত ঘরসহ ১৯৯৫ সালে ক্রয় করেন। বর্তমানে ভাটিয়ারির ওই জায়গায় প্রায় ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। এ অবস্থায় তার বড় ভাই রাঙামাটি জেলার তবলছড়ি এলাকার বাসিন্দা ও জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি জহির আহম্মেদ সওদাগর ও জাকির হোসেন (চাউল বেপারী) যোগসাজশে ভাটিয়ারির জায়গাটি জবর দখল করেন।
তিনি অভিযোগ করে দাবী করেন,তার অপর একটি জায়গা শহরের তবলছড়ি এলাকায় সে জায়গাটিও জবর দখল নিয়েছে জহির আহম্মেদ ও জাকির হোসেন। গেল ১৪ জুলাই ৮টায় ০১৬০৭১৩১৯২১ নাম্বর মোবাইল থেকে প্রাণ নাশের হুমকি ও তার কাঠালতলী নিজস্ব ভবনটি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করা হয়। হুমকির দেওয়ার প্রতিবাদে বশির আহম্মেদ বাদী হয়ে নিরাপত্তা চেয়ে গেল ১৪ জুলাই রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তিনি ও তার পরিবার এবং সম্পদের নিরাপত্তা চেয়ে আইন প্রয়োগকারি সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি দাবী করেন তার বড় ভাই জহির আহম্মেদ সওদাগর চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী চন্দনাইশের ফয়েজ আহম্মেদের ছেলে পারভেজকে দিয়ে তাকে চট্টগ্রামের বাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন আবার রাঙামাটির কাঠালতলীর বাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে পায়তারা চালাচ্ছেন।
এদিকে, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রশীদের সাথে যোগাযোগ করা তিনি জানান, বশির আহম্মেদ বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করার পর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তবে এ ঘটনাটি পাবিবারিক কলহের জের ধরে এ ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.