হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ১২তম কাউন্সিল শনিবার সম্পন্ন হয়েছে। কাউন্সিলে দ্বিতীয়া চাকমাকে সভাপতি, চৈতালী চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও রেশমী মারমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক জুঁই চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মিশুক চাকমা। বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ এর সংগঠক মিঠুন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিরূপা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা সাধারণ সম্পাদাক পলাশ চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সহ-সভাপতি তপন চাকমা। সভা পরিচালনা করেন মেনাকি চাকমা। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক দ্বিতীয়া চাকমা। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন ডেইজি চাকমা। কাউন্সিলে বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে সবার সম্মতিক্রমে দ্বিতীয়া চাকমাকে সভাপতি, চৈতালী চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও রেশমী মারমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট খাগড়াছড়ি জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত কমিটিকে শপথবাক্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিরূপা চাকমা।
সভায় ইউপিডিএফ-এর অন্যতম সংগঠক মিঠুন চাকমা অভিযোগ করে বলেন, সরকার যেভাবে ইউপিডএফ এর উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাংগঠনিকভাবে আরো সুদৃঢ় ও শক্তিশালী হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গেল ১৩ নভেম্বর ইউপিডিএফ-এর কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমাকে শিক্ষা সর্ম্পকীয় একটি মিটিং থেকে আইনবহির্ভূতভাবে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল না। তাছাড়া তিনি খাগড়াছড়ির একজন অত্যন্ত সুপরিচিত ব্যক্তি। ২০০৮ সালে তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেবার তিনি বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন। মূলত সরকার ইউপিডিএফ যেন গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করতে না পারে সেজন্য নেতাদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে ধরপাকড়, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা প্রদানের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এসবের মাধ্যমে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন আদায়ের সংগ্রামকে স্তব্ধ করে দেয়া যাবে না। তিনি অবিলম্বে অন্যায় দমন-পীড়ন বন্ধ করার দাবি জানান।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা দাবী করে বলেন, নারীরা আজ কোথাও নিরাপদ নয়। জাতিগত দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে শাসকগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ে যেভাবে নারীদের বিরুদ্ধে নির্যাতন চালাচ্ছে তা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদেরও হার মানায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.