• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সাম্বার হরিণটিকে বাঁচানো গেল না                    রাঙামাটিতে সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি’র রিজেন্ট বোর্ডের ৭ম সভা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি`র নির্মানাধীন দুটি ভবন থেকে চাঁদার দাবিতে দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র মহড়া                    রাঙামাটি জেলা পরিষদে নিয়োগ ও শিক্ষা বৃত্তিতে বৈষম্য বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন                    রাঙামাটিতে এইচএসসির পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক                    বিলাইছড়িতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন                    রাবিপ্রবি’তে একাডেমিক কাউন্সিলের ১২তম সভা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি’তে পরিকল্পিত বনায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন                    রাঙামাটিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে সনাক-টিআইবি’র অ্যাডভোকেসি সভা                    খাগড়াছড়িতে বীর শহীদদের প্রতি আরাফাত রহমান কোকোর ক্রীড়া পরিষদের শ্রদ্ধাঞ্জলী                    সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের গ্রেড উন্নীতকরণের দাবীতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি                    পাহাড়ে খড়ের পরিবর্তে শুকনা কলা পাতায় মাশরুম চাষে সাফল্য                    লংগদুতে গৃহবধূকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে এক যুবক আটক                    পাহাড়ে হাতি ও মানুষরে দ্বন্দ্ব কমছে                    রাঙামাটিতে ৮৫ হাজার ৮৬০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে                    শিশুর যৌন নির্যাতনকারী দাদুকে আটক করেছে পুলিশ                    রাঙামাটিতে দাদুর যৌন নির্যতানের শিকার নাতিনী                    রাজস্থলীতে বাচ্চা প্রসবকালে বন্য হাতির মা ও শাবকের মৃত্যু                    সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আঃলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা                    পাহাড়ে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমাতে মিডওয়াইফারি নার্সিং সেবা বৃদ্ধির উদ্যোগ                    
 
ads

ঢাকায় গোলটেবিল বৈঠকে
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ

ডেস্ক রিপোর্ট : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 11 Feb 2015   Wednesday
সভায় নাগিরক সমাজের নেতৃবৃন্দ।

সভায় নাগিরক সমাজের নেতৃবৃন্দ।

বুধবার ঢাকায় নাগরিক সমাজের উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক এই বিশেষ নির্দেশনা পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন-শীর্ষক এক গোলিেটবল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নাগরিক সমজের প্রতিনিধিরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

 

বিশিষ্ট গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের এই সিদ্ধান্ত শুধু আদিবাসীদে নয় বরং দেশের সকল নাগরিকের মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করেছে। সাথে সাথে এটি সংবিধান লঙ্ঘনসহ পার্বত্য চট্ট্রগাম চুক্তিকেও লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেন, নাগরিক সমাজ এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে, সরকার আন্তরিক হলে এটা নিয়ে তাদের সাথেও আলোচনা করতে পারে। অন্যথায় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা সর্বোচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হবেন।


নাগরিক সমাজের পক্ষে মানিক সরেনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ। এতে বক্তব্যে রাখেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য, মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।

 

প্রারম্ভিক বক্তব্য উপস্থাপন ও সভার সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। মুক্ত অলোচনায় আরো অংশ নেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খায়রুল রোকন, এ্যাডভোকেট নীলুফার বানু, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ওয়াসিউর রহমান তন্ময়, নারী পক্ষের কামরুন নাহার প্রমুখ।

 


উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে বেসরকারি সংস্থা ইউএনডিপির কার্যক্রম মনিটর করা, সিএইচটি কমিশনের নাম পরিবর্তন করা, বিদেশী নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণের জন্য এক মাস আগে অনুমতি নেয়া, পাহাড়ের আদিবাসীদের সাথে কেউ দেখা করতে চাইলে সেখানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি থাকা, পাহাড়ী পুলিশ বা আনসার সদস্যদের দেশের অন্যত্র বদলি করাসহ আরও কিছু বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়।

 


বিশিষ্ট গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ আরও বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খুবই পরিচিত একটি চুক্তি। বর্তমানে এই চুক্তিকে নসাৎ করার জন্য সরকারের ভিতরের একটি অংশ কাজ করে যাচ্ছে। অথচ এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশীরভাগ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

 

পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম কি কারাগার? যে সেখানে বসবাসরত আদিবাসীদের সাথে দেখা করতে গেলে সাথে একজন প্রশাসনের ব্যক্তি রাখতে হবে। জেল খানাতে এটা দেখা যায় যে বন্দীদের সাথে কেউ দেখা করতে গেলে সাথে প্রশাসন বা পুলিশের কেউ থাকে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে জেল খানা বানানোর ষড়যন্ত্র যারা করছে তারা এ দেশের শত্রু, পাকিস্তানি কায়েমী শক্তি তারা প্রয়োগ করতে চায়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সেনাবাহিনী বা গোয়েন্দা বিভাগের সাম্প্রদায়িক রিপোর্ট দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিরাপত্তার চশমায় দেখবেন না। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা একটি রাজনৈতিক সমস্যা। রাজনৈতিক উপায়েই দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য তিনি দাবি জানান।

 

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন যারা চাননা তারাই এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বেসরকারি সংস্থাদের কার্যক্রম তদারকির জন্য এনজিও ব্যুরো থাকার পরেও বিশেষভাবে এটি তদারকির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি তাই হয় তাহলে পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও উন্নয়নের নামে সেনাবাহিনীর যে অপারেশন উত্তরণ চলছে সেটিরও জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা দেশের জনগণ দেখতে চায়। তিনি আরও বলেন বিদেশী নাগরিকরা পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণে যেতে অনুমতি লাগবে আবার যে কেউ সেখানকার আদিবাসীদের সাথে দেখা করতে চাইলে সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে সাথে রাখতে হবে এইরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ নির্বুদ্ধিতা ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতার পরিচয় দেয়।

 

সিএইচটি কমিশনের নাম পরিবর্তনের অনুরোধের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এই কমিশনের সদস্য ব্যরিস্টার সারা হোসেন বলেন, এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই সংবিধান পরিপন্থী। তাছাড়া কোন একটি সংগঠনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আছে কি? তিনি বলেন পাহাড়ী বন্ধুদের সাথে পার্বত্য অঞ্চলে দেখা করতে গেলে আলাপ করতে গেলে প্রশাসন, সেনাবাহিনী বা বিজিবি থাকতে হবে এই ধরণের সিদ্ধান্ত সত্যিই হাস্যকর।

 

সাংবাদিক আবু সাইদ খান বলেন, রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিগত সমস্যার কারণেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রকম সাম্প্রদায়িক একটি নির্দেশনা দিয়েছে। বল প্রয়োগ নয়, রাজনৈতিকভাবেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধথান করতে হবে। এই রাষ্ট্র শুধূ বাঙ্গালির রাষ্ট্র নয়, এই রাষ্ট্র দেশের আদিবাসী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সকলের।

 

অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়েই এই বাংলাদেশের জন্ম। কিন্তু আজ রাষ্ট্র এই দেশেরই নাগরিক আদিবাসীদের প্রতি সাম্প্রদায়িক আচরণ করছে। তিনি স্বারষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে নির্লজ্জ সিদ্ধান্ত ও পার্বত্য চুক্তির সাথে বিরোধাত্মক বলে অভিহিত করেন।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, দেশের নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষা করাই রাষ্ট্রের কাজ। কিন্তু আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এই ধরনের একটি সিদ্ধান্ত দেশের মানবাধিকারকেই লঙ্ঘন করছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করলে তা টিকবেনা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ