• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
ডাকসু নবনির্বাচিত জিএস ফরহাদ রাঙামাটিরই আলোকিত সন্তান                    ভিপি সাদিক খাগড়াছড়িতে বেড়ে উঠা এক আলোকিত তরুন                    রাবিপ্রবিতে ষ্টার্টআপ এন্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়থ বিষয়ক সেমিনার                    আশিকা দরপত্র বিজ্ঞপ্তি                    রাবিপ্রবিতে অফিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কর্মশালা                    রাঙামাটিতে সিপিবি’র নেতৃত্বে সমীর ও অনুপম                    পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য পুনঃস্থাপন ও সম্প্রদায়ের বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষনে ১২ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন                    বিলাইছড়িতে তথ্য অফিস কর্তৃক নারী সমাবেশ                    রাঙামাটিতে কলা গাছের আঁশের স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রদর্শনী ও উদ্বোধন                    রাঙামাটিতে পুষ্টি পরিষেবার ঘাটতি পূরণে জন্য স্থানীয় লাইন বিভাগের সাথে সভা                    রাঙামাটিতে দুই বান্ধবীর একসাথে বিষপানে একজনের মৃত্যু,আরেকজন গুরুত্বর অসুস্থ                    রাঙামাটিতে সেনা অভিযানে জেএসএসের সশস্ত্র সদস্য আটক, অস্ত্র উদ্ধার                    রাঙামাটিতে সনাকের বলপিয়ে আদাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসিজি’র গ্রুপ গঠন                    রাঙামাটিতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত                    জীববৈচিত্র্য পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় সবুজায়নের খাগড়াছড়িতে চারা বিতরণ                    রামগড়ে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা                    অনিয়মের অভিযোগে রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে দুদকের অভিযান                    প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সরকারী সেবা সম্পর্কে অবহিত করতে গণ সংলাপ                    ভ্যান্ডর তালিকাভুক্তিকরণ দরপত্র আহ্বান বিজ্ঞপ্তি                    রাজস্থলীর মিতিঙ্গাছড়িতে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা                    কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাটে ফের পানি ছাড়া হচ্ছে                    
 
ads

রাঙামাটিতে পাহাড় ধস ট্র্যাজিডি
বাবা-মাকে হারিয়ে সুমাইয়া ও মিম’র ঠাঁই হয়েছে চাচার কাছে

বিশেষ প্রতিনিধি : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 25 Jun 2017   Sunday

গেল ১৩ জুন পাহাড় ধসে রাঙামাটি শহরের রুপনগর এলাকায় সালাহ উদ্দীন ও তার স্ত্রী রহিমা বেগমের  মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। বেচে যায়  ১৭ মাস বয়সী  সুমাইয়া আর চার বছরের মিম। সুমাইয়া আর মিম এখনো অবুঝ বলে জানে না নিষ্ঠুর প্রকৃতি তাদের বাবা-মায়ের জীবন কেড়ে নিয়েছে। বাবা-মাকে চির দিনের জন্য চলে যেতে হয়েছে না ফেরার দেশে। তাই এখন দুজনেরই ঠাই হয়েছে চাচার কাছে।

 

আবার একই আশ্রয় কেন্দ্রে নানী সালেহা খাতুন সাথে আশ্রয় নিয়েছে দুই বছরের ফারিয়া ও ছয় বছরের রাকিব। তাদের বাবা দরবেশ আলী একই দিনে পাহাড় ধসে মারা গেছেন। আর মা রাবেয়া বেগম অনেক দিন আগে তাদের ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেছেন। তাদেরও ঠাই হয়েছে নানীর কাছে। শুধু সুমাইয়া,মীম,রাকিব ও ফারিয়াই নয়। নিষ্ঠুর প্রকৃতি তান্ডবলীলায় জীবন কেড়ে নিয়েছে এরককম অনেক পরিবারের স্বজনকে।

 

পাহাড় ধসের ঘটনার পর পর রাঙামাটি সরকারী কলেজ আশ্রয় কেন্দ্রে সুমাইয়া ও মিম আশ্রয় নেয় চাচা কাউসারের সাথে। অবার একই কেন্দ্রে ফারিয়া ও  রাকিব অাশ্রয় নেয় নানী সুফিয়া খাতুনের সাথে। সেখানে কথা হয় সুমাইয়া ও মিমের চাচা মো: কাউসার এবং নিহত দরবেশ আলীর মা সালেহা খাতুনের সাথে। 

 

কাউসার প্রতিবদককে জানান, শহরের রুপ নগর এলাকায় তার বড় ভাই সালাহ উদ্দীন ও ভাবী রহিমা বেগম গেল ১৩ জুন পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে মারা যান। তাদের পরিবারের ছয় জনের মধ্যে ৪ জন বেচে যান। এখন মা সুফিয়া খাতুন, মিম ও সুমাইয়াকে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানেই তাদের নিয়ে দিন যাপন করছেন। 

 

এসময় চাচার কোলে ছিল সুমাইয়া। কথা বলার সময় একটু পর পর কান্না করে উঠছে সুমাইয়া। জিজ্ঞাসা করাতে কাউসার জানান, মাকে খুজছে তাকে না পেয়ে বার বার কান্না করছে।

 

তিনি আরো জানান, সুমাইয়া ও মিমের মাবাবা মারা যাওয়ার পর এখন তার কাছে রয়েছে। তাদের যাবতীয় দায়িত্ব এখন তিনিই নিয়েছেন। কাঠ মিস্ত্রির কাজ করে অল্প আয় রোজগার হলেও সুমাইয়া ও মিমকে মানুষের মত মানুষ করার চেষ্টা করবেন।


কাউসার বলেন, যদিও তার বিয়ের বয়স হলেও এখন বিয়ে করেননি। আর এ ঘটনার পর বিয়ের প্রশ্নই আসে না। এখন একটাই চিন্তাই সুমাইয়া ও মিমকে বড় করে মানুষের মত মানুষ করা। আর চেষ্টা করবো তারা যেন বাবা-মায়ের শুণ্যতা বোধ না করে।


তিনি জানান, সুমাইয়া ও মিমের মাবাবা মারা যাওয়ার কথা শুনে অনেকেই লালন-পালনের জন্য নিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের নিতে দিইনি। কারণ তাদের দুজনের দায়িত্ব তিনিই নিয়েছেন। তার একটাই অনুরোধ সুমাইয়া ও মিমের প্রতি কেউই দয়া বা মমতা হলে তাদের সাহায্য করতে পারেন। একেবারেই তাদের নিয়ে গিয়ে লালনপালন করাটা সম্ভব নয়।

 

পাহাড় ধসে ঘটনায় একই এলাকায় মারা যান দরবেশ আলী। রাঙামাটি সরকারী কলেজের আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন নিহত দরবেশ আলীর মা সালেহা খাতুন (৭০) জানান, পাহাড় ধসে ছেলে দরবেশ আলীকে হারিয়ে এখনো শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এখন দু বছর ও ছয় বছরের নাতি-নাতিনীকে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে দিন কাটাচ্ছেন। জানেন না কত দিন সেখানে থাকবেন। তিনি আরো জানান, তার ছেলের স্ত্রী রাবেয়া বেগম অনেক দিন আগে স্বামীকে ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেছেন। এখন সে কোথায় আসে জানি না। ঘটনার পর আমাদের কোন খোজও নেয়নি সে।


উল্লেখ্য, গেল ১৩ জুন পাহাড় ধসে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর যুব উন্নয়ন বোর্ড এলাকা,মুসলিম পাড়া.শিমুলতলী এলাকা,সাপছড়ি,মগবান,বালুখালী এলাকায় এবং জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়। এতে জেলায় ১৬শ থেকে ১৭ শ ঘরবাড়ি সম্পূর্ন ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। শুধুমাত্র রাঙামাটি শহরের ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩হাজার ২শ জন ক্ষতিগ্রস্থ আশ্রয় গ্রহন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৫৬ জন,মহিলা ৯শত ২৪ জন এবং শিশু ১হাজার ২২জন রয়েছেন। 
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

ads
ads
আর্কাইভ