শশী মোহন কারবারী পাড়া থেকে ৫১ বিজিবি’র সদর দপ্তর প্রত্যাহার করে আশ্রয়হীন ২১ পাহাড়ী পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবীতে বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সংবাদ সম্মেলন করেছে দীঘিনালা ভূমিরক্ষা কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে গত ১৫ মার্চ ভূমিরক্ষা কমিটির পদযাত্রায় আইনশৃংখলা বাহিনীর বাধা, হামলা ও মামলার প্রতিবাদ জানানো হয়। সকাল ১১ টায় উপজেলার বাবুছড়ায় কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের একটি পরিত্যক্ত ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভূমিরক্ষা কমিটির নেতারা বলেন, হামলা হামলা এবং নির্যাতন নিপীড়ন করে পাহাড়ীদের ভূমিরক্ষার আন্দোলন থেকে নিভৃত করা যাবে না। এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসতেও আমরা প্রস্তুত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দীঘিনালা ইউপি চেয়ারম্যান ও ভূমিরক্ষা কমিটির সদস্য চন্দ্র রঞ্জন চাকমা। তিনি বলেন, শশী মোহন কারবারী পাড়ার ভারত প্রত্যাগত ২১ টি পাহাড়ী শরনার্থী পরিবারকে উচ্ছেদ করে ৫১ বিজিবি’র সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এ পরিবারগুলো অনাহার অর্ধাহারে মানবেতর দিন টাকাচ্ছে। অবিলম্বে বিজিবি সদর দপ্তর বিরোধমুক্ত স্থানে প্রত্যাহার করে আশ্রয়হীন পরিবারগুলোকে তাদের নিজ নিজ বসতভিটায় পুনর্বাসনের দাবী জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আগ্রহ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন দীঘিনালা ভূমিরক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ধর্মজ্যোতি চাকমা। তিনি বলেন, আলোচনা ছাড়া কোনো সমস্যা সমাধান হয় না। অথচ প্রশাসন আলোচনার পথ রুদ্ধ করে মামলা হামলার মাধ্যমে এ সমস্যাকে জটিল করে তুলছে। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান করা না হলে পাহাড়ীদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরো কঠোর কর্মসূচীর মাধ্যমে দীঘিনালা ভূমিরক্ষা কমিটি আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দীঘিনালা ভূমিরক্ষা কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পরিতোষ চাকমা ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুসময় চাকমাসহ আশ্রয়হীন পরিবারের লোজকন উপস্থিত ছিলেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.