কল্পনা চাকমার অপহরণকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে কল্পনা চাকমার অপহরণকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে শুক্রবার ঢাকায় চার পাহাড়ি নারী সংগঠনের বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মিনাকি চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়,জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী নিরূপা চাকমা। বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি মাইকেল চাকমা, পিসিপি’র কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক বিপুল চাকমা। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাজেক নারী সমাজের সভানেত্রী নিরূপা চাকমা, একই সংগঠনের নেত্রী জ্যোৎস্না রাণী চাকমা, পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি থুইক্যচিং মারমাসহ বাংলাদেশের জাতীয় ছাত্র সংগঠনের বেশ ক’জন নেতাও সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে ৪ সংগঠনের প্রথম পর্বের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। বিকেলে শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে কল্পনা চাকমার বক্তৃতার ভিডিও প্রদর্শন ও সংহতি সভা রয়েছে।
সমাবেশে কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দি কুমার চাকমা আবেগজড়িত কণ্ঠে ’৯৬ সালের অভিশপ্ত দিনটিতে তার প্রিয় ছোটবোনকে অপহরণের বর্ণনা দেন এবং চিহ্নিত অপহরণকারী লেফটেন্যান্ট ফেরদৌস ও তার দোসরদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার বোনের হদিস জানা যাবে বলে মত প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ নারী মুক্তির সভানেত্রী সীমা দত্ত তার সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশের দাবির সাথে একাত্মতা ও সংহতি জানিয়ে অবিলম্বে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য নতুন কুমার চাকমা অপহরণ-ধর্ষণ ইত্যাদি ঘটনার পেছনে পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারের জাতি বিদ্বেষী নীতিকে দায়ি করেন।
ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভানেত্রী কাজলী ত্রিপুরা সরকার কল্পনার অপহরণকারীদের বিচার করতে অপারগ হলে জনগণই গণআদালত বসিয়ে তা করবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ৪ পাহাড়ি নারী সংগঠন বিক্ষোভ প্রদর্শন করা সংগঠনগুলো হল হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ), সাজেক নারী সমাজ (এসএনএস), ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি (জিএনপিসি) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ (পিসিএনএস)।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.