খাগড়াছড়ি’র আলুটিলাার ধাতুচৈত্য বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ চন্দ্র মণি মহাস্থবিরকে মায়ানমার সরকারের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সন্মাননা ‘স্বধর্ম জ্যোতিকা ধ্বজা’ ভূষিত করা হয়েছে। ধর্মীয় সন্মাননা পাওয়ায় খাগড়াছড়ির বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা চন্দ্রমণি মহাস্থবিরকে বরণ করে নিতে মঙ্গলবার কয়েক’শ মোটর সাইকেল আর গাড়ীবহর নিয়ে মহীয়ান এই ধর্মগুরুকে স্বাগত জানিেেছন। এই অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমা-মারমা এবং বড়ুয়ার সম্প্রদায়রা অংশ নেন।সম্প্রতি চন্দ্র মণি মহাস্থবিরকে মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় সন্মাননা হিসেবে ‘স্বধর্ম জ্যোতিকা ধ্বজা’ ভূষিত করেছে মায়ানমার সরকার। এই কীর্তিমান ধর্মীয়গুরু চন্দ্র মনি মহাস্থবিরকে বরণ করে নিতে পথে পথে ফুল হাতে অপেক্ষমান শত শত নারী-পুরুষ দাড়িঁয়ে থাকেন। পরে তাঁকে (চন্দ্রমণি) বহনকারী সুসজ্জিত গাড়ীটি পৌছঁলে অপেক্ষামান নর-নারীরা ফুল ছিটিয়ে নিয়ে বরণ করে নেন।পরে আলুটিলা থেকে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য আর আনুষ্ঠানিকতার পর বিশালাকার গাড়ী বহর পাহাড়ী পথে প্রবেশ করে খাগড়াছড়ি শহরে। শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মহাজনপাড়া জনবল বৌদ্ধ বিহারে অনুষ্ঠিত হয়, একটি আলোচনা সভা।প্রবীন শিক্ষাবিদ অনন্ত বিহারী খীসা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেই সে সভায় বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা, খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বোধিস্বত্ত দেওয়ান, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা এবং খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়া।চন্দ্রমণি মহাস্থবিরকে বরণের এই পর্বটি পুরো জেলাশহরে মঙ্গলবার বিকেলে যেন বাড়তি সৌহার্দ্য আর উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছিল।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.