আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর কাপ্তাই উপজেলা বিএনপি’র কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ায় মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। মাঠ পর্যায়ের এসব নেতাকর্মীরা আসন্ন কাউন্সিলে নেতৃত্ব পরিবর্তনসহ ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন চায়। গত ৬ বছরে কাপ্তাই উপজেলায় সরকার বিরোধী কোন আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃবৃন্দের তেমন কোন ভূমিকা দেখেনি। তাছাড়া দলীয় কোন কর্মসূচীও এখানে পালিত হতে দেখা যায়নি। ২০০৯ সালে সর্বশেষ কাপ্তাই উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্দেশনা অনুযায়ী ১৬সেপ্টেম্বন কাপ্তাই উপজেলা বিএনপি’র এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে সরকার বিরোধী ব্যাপক আন্দোলন কর্মসূচী পালিত হলেও কাপ্তাইয়ে একটি মিছিল পর্যন্ত করা হয়নি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে। সারা দেশের তুলনায় কাপ্তাই অঞ্চলটি সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দীর্ঘদিন ধরে। এখানে রাজনৈতিক হিংসা-হানাহানি নেই বললেই চলে। এমন শান্ত পরিবেশেও আন্দোলন সংগ্রামের সময় কাপ্তাইয়ে কোন সরকার বিরোধী এমনকি দলীয় কোন কর্মসূচীও পালিত হয়নি এ পর্যন্ত। অথচ কাউন্সিলের তারিখ ঘোষনার পরেই এদীর্ঘ সময় কাপ্তাই ছেড়ে যারা অন্যত্র অবস্থান করেছে, তারাও কাপ্তাইয়ে এসে পুনরায় পদ প্রাপ্তির আশায় এলাকায় উপস্থিত হয়ে তদবীর লবিং শুরু করেছেন।
দীর্ঘ ৬ বছর পর গত ৮ সেপ্টেম্বর ওয়া¹া ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে বিএনপি’র কাউন্সিল উপলক্ষে সম্মেলন প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, বর্তমান উপজেলা বিএনপি’র বর্তমান সভাপতি মহির উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি’র সহসভাপতি ডা: রহমত উল্লাহ, জাফর আহমদ স্বপন, টিএস তালুকদার, হেডম্যান উথোয়াইচিং চৌধুরী (বাবলু) সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজি উল্লাহ, উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি আবুল খায়ের, উপজেলা যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন, উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক নূর নাহার বেগম সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, সভায় তৃণমুল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের দাবী ছিল পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি করার উপর। কোন সুবিধাভোগী বিএনপি নেতৃত্ব যাতে নতুন কমিটিতে স্থান না পায়। সভায় ১০ সদস্যের একটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ ইসমাইল হোসেন নিজামী বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র ও নির্বাচনে বিশ^াসী। তাই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি কাউন্সিলারদের ভোটাধিকারের মাধ্যমে উপজেলা কমিটি গঠন করবে।
সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জাফর আহমদ স্বপন জানান,পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই নেতৃত্বে আসুক আমরা এটাই চাই।
সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী আবু হাসান চৌধুরী রক্সি জানান,আমরা নেতৃত্বের পরিবর্তন চাই। যারা দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থাকবে এমন নেতৃত্বই আমাদের কাম্য।
অপর সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী নাসির উদ্দিন জানান, ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের হাতে নেতৃত্ব আসুক সেটায় চান এবং এ ব্যাপারে কাউন্সিলরদের প্রার্থী বাচাইয়ে ভুল না করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.