পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যাতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বহু সমস্যা বিরাজমান থাকলেও ক্রীড়ার মাধ্যমে তা অনেকটা নিরসন হয়েছে।
ক্রীড়ার মাধ্যমেই পার্বত্য জেলার মানুষ একে অন্যের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছে। এর ফলে একে অন্যের প্রতি সম্প্রীতি ও শ্রদ্ধা বেড়েছে। তিনি এ টুর্ণামেন্টের মধ্য দিয়ে এ জেলার খেলাধুলার মান আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার রাঙামাটতে রাঙামাটি চিংহ্লা মং চৌধুরী (মারী) স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পৃষ্টপোষকতায় এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোঃ সামসুল আরেফিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলা পুলিশ সুপার ও ফুটবল উপ-পরিষদের আহ্বায়ক সাঈদ তারিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মোস্তফা জামান, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টো, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বরুন বিকাশ দেওয়ান। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্ধোধন করেন।
আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ জেলার ক্রীড়ার ক্ষেত্রে অনেক সুনাম রয়েছে। জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়রই এই জেলার। এ সুনাম ধরে রাখতে তিনি ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্ত্যবে জেলা প্রশাসক বলেন, তরুন প্রজন্মকে অপকর্ম থেকে সরিয়ে আনতে ক্রীড়ার কোন বিকল্প নেই। তাই তরুন প্রজন্মকে ক্রীড়ার প্রতি আরো আহগ্রী করতে হবে। তিনি বলেন, ক্রীড়া মানুষের মন ও শরীরকে প্রফুল্ল রাখে। প্রফুল মন হিংসা হানাহানি ও অপকর্ম থেকে সবসময় মানুষকে দূরে রাখে।
উদ্ধোধনীর পর পর রাঙামাটি উপজেলা সদর বনাম বাঘাইছড়ি উপজেলা দলের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। রাঙামাটি সদর ৪-০ গোলে বাঘাইছড়ি উপজেলা দলকে হারিয়ে জয়লাভ করে।
বুধবার বিলাইছড়ি বনাম বরকল উপজেলা, বৃহস্পতিবার নানিয়ারচর বনাম জুরাছড়ি, শুক্রবার কাউখালী বনাম রাজস্থলী উপজেলা দলের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.