বান্দরবানের লামায় নানান কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বুধবার পার্বত্য শান্তি চুক্তির ১৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়েছে।
চুক্তির বর্ষপুর্তি উৎযাপন উপলক্ষ্যে লামায় এক বিশাল র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি লামা কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার থেকে শুরু হয়ে লামা বাজার প্রদক্ষিণ শেষে চাম্পাতলী স্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সহ্¯্রাধিক নৃ-গোষ্ঠী নারী পুরুষের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) লামা উপজেলা শাখার সভাপতি অংগ্য মং মার্মা। প্রধান অতিথি ছিলেন জেএসএস-এর বান্দরবান জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রোয়াংছড়ি ৪নং নোয়াপতং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সম্ভু কুমার তংচংগ্যা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, লামা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক অংথোয়াই হ্লা মার্মা, জেএসএস-এর লামা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার আসাম, জেএসএস-এর লামা শাখার সহ-সম্পাদক চংপাত ম্রো,পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ লামা শাখার সাধারণ সম্পাদক উথোয়াইছা মার্মা ও জেএসএস’র নাইক্ষ্যংমুখ ইউনিট কমিটির সভাপতি মেংলং ম্রো,পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সভাপতি সুইগ্যমং মার্মা ও জেএসএস নারী নেত্রী উষাংপ্রু মার্মা সহ প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সরকার আমাদেরকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি স্বীকৃতি দিয়ে অপমান করে চলেছেন। আমরা আদিবাসী স্বীকৃতি চাই। আমরাও মানুষ! আমাদেরকে অবহেলা করবেন না।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে ৪৫টি জাতিসত্তার প্রায় ৩০ লাখ আদিবাসী রয়েছে। আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে পাহাড়ী ও সমতল অঞ্চলের বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন।
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে একের পর এক কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন তারা। সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে গঠিত বিশেষ কমিটির কাছে তারা নিজেদের দাবি-দাওয়া পেশ করেন। স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় তারা বুক বেঁধে ছিলেন। কিন্তু আদিবাসীদের দাবি এখন পর্যন্ত এড়িয়ে চলেছে সরকার।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.