নদী ও জীবনের সন্ধান করতে হলে দেশের নদীগুলোকে বিজ্ঞান সম্মত গবেষণা করে বাচিঁয়ে রাখতে হবে বলে গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড.গওহর রিজভী।
তিনি বলেন, দেশে ছোট বড় প্রায় নদীগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক নদী অতিমাত্রায় দূষণ হচ্ছে। এসব নদ নদীর উপর বিজ্ঞান সম্মত গবেষণায় সুদুর প্রসারী লক্ষ্য নিয়ে নদী ও জীবনের সন্ধানে শীর্ষক পাইলট প্রকল্পটির মাধ্যমে নদীগুলোকে বাচিঁয়ে রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কর্ণফুলি নদীতে প্রকল্পের প্রথম গবেষণার কাজ সূচনা করা হচ্ছে।
বৃহষ্পতিবার বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের কলেজ পাড়ায় নদী ও জীবনের সন্ধানে শীর্ষক অভিযাত্রা অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুবলং কলেজ পাড়াস্থ এলাকায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন।
বিশেষ অথিতি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংএমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতি মন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, ধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার, ,সেনাবাহিনীর রাঙামাটির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সানাউল হক, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, সুবলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরুন জ্যোতি চাকমা বক্তব্য রাখেন। এসময় ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষক দলসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি কাপ্তাই হ্রদের কাচালং মুখ এলাকায় নদী ও জীবনের সন্ধানে শীর্ষক অভিযাত্রা প্রকল্পের উদ্ধোধন করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়,পার্বত্য জেলায় অবস্থিত কর্ণফুলী নদীর উপর গবেষনার মধ্য দিয়ে নদী ও জীবনের সন্ধানে শীর্ষক গবেষনা কার্যক্রমের শুরু হয়েছে ।
পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৪ টি জেলার ছোট বড় সকল নদীর উপর এই গবেষনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। গবেষনা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহা পরিচালক কবির বিন আনেয়ারকে টিম লিডার করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি অভিযাত্রী দল ও গঠন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, গবেষনা কার্যক্রমের আওতায় নদীগুলোর উপর গবেষনা লব্দ ফলাফলের উপর ফিল্প কপি, সপ্ট কপি এবং হার্ড কপি তৈরী করা হবে যা সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। সারাদেশে এই গবেষনা কালের সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে ২০ বছর।
উল্লেখ্য , বাংলাদেশের নদ-নদীর উপর বিজ্ঞান সম্মত গবেষনায় সুদুর প্রসারী লক্ষ্য নিয়ে নদী ও জীবনের সন্ধানে শীর্ষক অভিযাত্রা শুরু করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কর্ণফুলি নদীতে গবেষণার কাজ বৃহষ্পতিবার বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের কাচালং মুখ থেকে এ অভিযাত্রা শুরু করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.