চিটাগং হিল ট্টাক্টস কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-এর ট্রান্সপোর্ট ইকোনোমিস্ট কে এস এইচ রাও বুধবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অফিস কক্ষে পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমার সাথে এসময় চিটাগং হিল ট্টাক্টস কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-এর প্রকৌশলী কামরুল হাসান, পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতকালে কে এস এইচ রাও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে বরকলের থেগামুখে স্থলবন্দরে যাওয়ার জন্য নির্মাণাধীন রাস্তা সম্পর্কে চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এ রাস্তাটি নির্মাণ করার জন্যে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করেছে।
চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী-বিলাইছড়ি-জুরাছড়ি-বরকল হয়ে ১শ ২৩ কিলোমিটারের একটি দুই লেন বিশিষ্ট রাস্তা নির্মাণের জন্য জরীপ কাজ অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে চন্দ্রঘোনায় একটি চার লেনবিশিষ্ট ব্রীজ এবং বরকলে আর একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।
এর বাইরে চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, রাঙামাটিতে ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ, রাঙামাটি থেকে ছোট হরিণা পর্যন্ত জলপথে যাওয়ার জন্য ড্রেজিং এবং ছোট হরিণা থেকে থেগামুখ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারের একটি রাস্তা নির্মাণ করা হবে।
পরিষদ চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম থেকে থেগামুখ স্থলবন্দরে পৌঁছার জন্য রাস্তা নির্মাণ এবং জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,এ রাস্তাটি নির্মিত হলে এলাকার কৃষিজ পন্য আনা-নেওয়া, পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে।
তিনি রাস্তা নির্মাণের সময় এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং স্থানীয় সংস্কৃতি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং রাস্তা নির্মাণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন যাতে তাদের ক্ষতিপূরণের অর্থ পায় সেদিকে নজর রাখার জন্য পরামর্শ রাখেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.